স্ত্রীর গলাকাটা লাশের পাশে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে ছিলেন স্বামী

আইএনবি ডেস্ক: রাজধানীর ভাটারায় বন্যা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় আশঙ্কাজনক অবস্থায় তার স্বামী মো. সুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম আসাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, পারিবারিক কলহে স্বামী-স্ত্রী সোলমাইথ পূর্বপাড়ার ভাড়া বাসায় দরজা বন্ধ করে রাখেন। সংবাদ পেয়ে স্বজনরা দরজা ভেঙে দুজনকে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে স্ত্রী বন্যার মৃত্যু হয়। আর স্বামী সুজনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পারিবারিক কলহ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

বন্যার মামা মো. কবির হোসেন জানান, রোববার বিকেলে সুজনের সঙ্গে বন্যার ঝগড়া হয়। বন্যা তাকে ফোন করে বাসায় যেতে বলেন। পরে তিনি বাসায় যান। দরজা বন্ধ পেয়ে ডাকাডাকি করেন। দরজা না খোলায় আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় দরজা ভেঙে গলাকাটা অবস্থায় একজনের ওপর একজনকে পড়ে থাকতে দেখতে পান। সেখান থেকে সুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, ‘কক্ষ থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। বন্যা কবির হোসেনকে উদ্দেশ্য করে লিখে গেছে, মেহেদীকে ছারবা না। তাকে দায়ী করে গেছেন।’ তবে মেহেদীর পরিচয় জানা যায়নি।

তিনি আরও বলেন, সুজন পেশায় রাজমিস্ত্রী, বন্যা ছিল গার্মেন্টস কর্মী। ৫-৬ মাস আগে তারা বিয়ে করেন।

স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে কি না তা তদন্তের পর নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢামেকে আসা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা।

আইএনবি/বিভূঁইয়া