ইউক্রেনে যুদ্ধের ডামাডোলে কেন ‘বাংলার সমৃদ্ধি’?

আইএনবি ডেস্ক: ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্য মোতায়েনের পর  বছরের শুরু থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাথাকায় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে বিশ্বের অনেক দেশ ইউক্রেন থেকে তাদের নাগরিক ও দূতাবাস সরিয়ে নিতে থাকে।

এর মধ্যে চলতে থাকে কূটনৈতিক আলোচনা। কিন্তু ফলোপ্রসূ সমাধান না আসায় ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু হয়। সেই যুদ্ধ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) অষ্টম দিনে গড়িয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে এমন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) জাহাজ এমভি ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ কেন ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছিল, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএসসির নির্বাহী পরিচালক ড. পীযূষ দত্তকে একই প্রশ্ন করেন গণমাধ্যমকর্মীরা।

পীযূষ দত্ত বলেন, জাহাজটি না পাঠানোর সুযোগ ছিল না। চার্টারার যদি যেতে চায় আইনগতভাবে না পাঠানোর সুযোগ নেই। ক্যাপ্টেনের পারফরম্যান্সে আমরা সন্তুষ্ট। তারা জীবনবাজি রেখে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন ক্ষয়ক্ষতি কমানোর।

ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি সেই জাহাজে রকেট হামলায় নিহত থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ জাহাজেই ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। জাহাজটিতে নাবিক ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এখনো ২৮ জন অবস্থান করছেন। ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র নাবিকদের উপকূলে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।

বিএসসির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আন্তর্জাতিক মেরিটাইম আইন খতিয়ে দেখার পাশাপাশি সরকার নাবিকদের উদ্ধারে তৎপর রয়েছে।

এর আগে বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায়) বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ওই জাহাজের নাবিক সালমান সামি। হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান মারা যান।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হয়ে যাওয়ায় ২৯ নাবিকসহ সেখানেই আটকা পড়ে জাহাজটি। ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে তাদের ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল।

আইএনবি/বিভূঁইয়া