ফুটবল খেলায় পটকা ফাটানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবক নিহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:ফুটবল টুর্নামেন্টে জয়ী হয়ে পটকা ফুটানোকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইয়াকুব (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৬-৭ জন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইয়াকুব নরসিংসার উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত আবদুল্লাহর ছেলে। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ এপ্রিল সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে সামিউন বাছির ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু হয়। টুর্নামেন্টে গ্রামের ১৪টি দল অংশ নেয়। শুক্রবার টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

খেলায় গ্রামের নাজাত গোষ্ঠীর নরসিংসার পশ্চিম পাড়া স্পোর্টিং ক্লাব ও নরসিংসার উত্তর পাড়ার টাইগার স্পোর্টিং ক্লাব অংশ নেয়। বিকেল ৫টায় শুরু হয় খেলা। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে কোনো দলই গোল করতে পারেনি। টাইব্রেকারে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়।

টাইব্রেকারে ২-১ গোলে নরসিংসার পশ্চিম পাড়া স্পোর্টিং ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষ হওয়ার পর চ্যাম্পিয়ন দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকরা মাঠে পটকা ফুটানো শুরু করেন। এ সময় আয়োজকরা পটকা ফুটানো বন্ধের আহ্বান করেন।

সে সময় নরসিংসার গ্রামের উত্তর পাড়ার দ্বীন ইসলাম দিলু এগিয়ে গিয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের পশ্চিম পাড়ার খেলোয়াড়দের পটকা ফাটানো বন্ধ করতে বলেন। এ নিয়ে চিকিৎসক তারেকের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই দ্বীন ইসলামের কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

তারেকের সঙ্গে তার বড় ভাই রায়হান ও ছোট ভাই তারিফ সংঘর্ষে যোগ দেন। একপর্যায়ে তারেক ছুরি নিয়ে উত্তর পাড়ার ইয়াকুবকে আঘাত করেন। এ ছাড়া সংঘর্ষে আরও সাত থেকে আটজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইয়াকুবকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকে চিকিৎসক তারেক ও তার পক্ষের লোকজন পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন বলনে, ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শেষে পটকা ফুটানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইয়াকুব নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া