হাবের মধ্যস্থতায় এসএম ট্রাভেলসের সেই ৫৩৮ জন সৌদি আরবে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

এসএম ট্রাভেলসের প্রতারণার শিকার সেই ৫৩৮জন হজযাত্রীকে অবশেষে সৌদি পাঠানো হয়েছে। তিন ধাপে এসকল হজযাত্রীকে সৌদি পাঠানোর উদ্যোগ নেয়  হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব)। এরমধ্যে দুই ধাপের পর সর্বশেষ ধাপে বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় সাতটায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ৩ শতাধিক যাত্রী পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদিতে যাচ্ছেন। ঢাকার হজ অফিস ও হাব সূত্রে এমন তথ্য জানান গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বুধবার দুপুরে জানান, তিন ধাপে এসএম ট্রাভেলসের হজযাত্রীরা সৌদি পাঠানো হয়েছে। আজ (২১ জুন) সন্ধ্যায় সাতটার সময় তিন শতাধিক হজযাত্রীকে সৌদিতে পাঠানো হচ্ছে। তিনি জানান, কোন হজযাত্রীর বিপদে পড়লে তার পাশের দাড়াঁনোর দায়িত্ববোধ থেকেই হাব এই উদ্যোগ নিয়েছে। সম্মানিত হজযাত্রীদের ভিসা, টিকিটিংসহ সব ধরনের সহযোগিতা আমরা করেছি। তারা হজে যেতে পারছেন এটাই সুসংবাদ।

জানা গেছে, এর আগে দুটি ফ্লাইটে সৌদি গেছেন এই এজেন্সির দুই ২২৭জন। আজকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট নং- বিজি-৪০০৯ ফ্লাইটে সন্ধ্যা সাতটার ফ্লাইটে সৌদিতে যাবেন। শেষ খবর পাওয়া পযন্ত তারা হজ ক্যাম্পে ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে বিমানবন্দরে গেছেন।

জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এসএন ট্রাভেলস থেকে ৫৩৮ হজযাত্রীর হজ পালনে সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। এর মধ্যে ৭৫ জনের ভিসা হয়েছে। ৯০ জনের টিকিট কনফার্ম হওয়ার পর গত ১৪ জুন (বুধবার) থেকে এজেন্সির মালিক শাহ আলম লাপাত্তা। এসব হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের টাকা জমা ছিল। এছাড়া সৌদি আরবের হোটেল ভাড়া প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুকিং করা ছিল। ভিসা ফি বা অন্যান্য খরচ যা প্রয়োজন হজযাত্রীদের কোনো পরিশোধ বকেয়া ছিল তা হাব সম্পন্ন করে হজের পাঠানোর উদ্যোগ নেয়।

হাবের মধ্যস্থতায় সেই ৮২৩ যাত্রী এখন সৌদিতে

৯ লাখ রিয়াল নিয়ে সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন কোবা এয়ার ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান এবং তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের অধীনে ৮২৩ হজযাত্রীর ১ জুন সৌদি আরবে যাওয়ার কথা। কিন্তু মালিক আটক হওয়ায় ওই তিন হজ এজেন্সির অধীনে নিবন্ধিত ৮২৩ জনের হজ পালন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। পরে হাবের মধ্যস্থতায় তাদের সৌদিতে পাঠানো হয়েছে। ২, ৪ ও ১৩ জুন তিনটি ফ্লাইটে ৬৮৫ জন এবং সর্বশেষ ১৪ জুন বাকি ১৩৮ জনকে সৌদিতে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে হাব সভাপতি বলেন, সৌদি পুলিশের হাতে মালিকরা আটক হওয়া পর থেকে ৮২৩ হজযাত্রীর যাত্রার বিষয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। আমরা শুরু থেকে সবাইকে হজে পাঠানোর বিষয়ে আত্মপ্রত্যয়ী ছিলাম এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করি। বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়, মক্কা হজ মিশন ও সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এনএ/ জেএস