করোনা আরও ৫৫ মানুষের জীবন কেড়ে নিল 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস নিয়ে এক ভয়ঙ্কর আশঙ্কার কথা প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্যা ইকোনমিস্ট।

তাদের ম্যাগাজিনে আশঙ্কা করা হয়েছে, এই ভাইরাসটি অদূর ভবিষ্যতেও পৃথিবী থেকে যাবে না। উল্টো যুগ যুগ ধরে মানুষের শরীরে হানা দেবে করোনাভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৬০ কোটিতে। আর মারা যেতে পারে ৩৭ লাখের বেশি মানুষ।

আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়াল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, এই পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ১৩ লাখ মানুষ। আর এরই মধ্যে মারা গেছেন ৫ লাখ ৩০ হাজারের বেশি মানুষ।

এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দ্যা ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, চীন, তাইওয়ান, ভিয়েতনামের মতো কিছু দেশ করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।

আর ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়ায় এখনও ভাইরাসের তাণ্ডব চলছে; যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও কিছু দেশ নিয়ন্ত্রণ হারানোর পথে রয়েছে। আর আফ্রিকার দেশগুলো রয়েছে মহামারির প্রাথমিক পর্যায়ে, ইউরোপ আছে এগুলোর মাঝামাঝি কোনও অবস্থানে।

তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সামনে আরো ভয়াবহ দিন আসছে।

এদিকে ৮৪টি দেশের ওপর গবেষণা চালিয়ে সম্প্রতি ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি জানিয়েছে, প্রতিটি নতুন রোগী শনাক্তের বিপরীতে আক্রান্ত ১২ জন অশনাক্তই থেকে যাচ্ছে। আর করোনায় প্রতি দুইটি মৃত্যুর বিপরীতে তৃতীয়টিকে অন্য রোগের ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।

তারা বলছে, উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি না আসলে ২০২১ সালের মাঝামাঝি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২০ থেকে ৬০ কোটিতে। আর মৃত্যু হতে পারে ১৪ থেকে ৩৭ লাখ মানুষের।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বের ৯০ শতাংশ মানুষই প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ নিয়ে বেঁচে থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ অনেকেই মারাও যাবে।

ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে আরও বলছে, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার হার নির্ভর করবে মূলত সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ওপর। টেস্টিং, ট্রেসিং এবং আইসোলেশন- এই তিনটি ধাপে নিয়ন্ত্রণ করা যায় করোনাভাইরাস। এসবে নিয়ন্ত্রণ সম্ভব না হলে পরবর্তীতে প্রয়োগ করা হয় লকডাউন।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া