ছাতকে ৩০০ কিলোমিটার সড়ক বন্যায় বিধ্বস্ত

ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকের রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সম্প্রতি ভয়াবহ বন্যায় । বন্যার প্রবল স্রোতে অনেক পাকা সড়ক ভেঙে গেছে। কোনো কোনো গ্রামীণ রাস্তার অস্তিত্বই নেই।

বন্যার আগে যেখানে পাকা সড়ক ছিল, তা বোঝার কোনো উপায়ই নেই। এ অবস্থা বিরাজ করছে অনেক সড়কে। বন্যার পানি নামলেও ছাতকের বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে এখনো সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ছাতক অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক বন্যায় বিধস্ত হয়েছে। গ্রামঞ্চলের অনেকগুলো কাঁচা সড়ক নিশ্চিহ্ন হয়েছে। বন্যায় এখানে রাস্তাঘাটের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন।

এদিকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে ছাতক-দোহালিয়া-সুনামগঞ্জ সড়ক, শ্যামপাড়া-কান্দিগাঁও, মিত্রগাঁও-বঙ্গবন্ধু সড়ক, বুরাইয়া-বসন্তপুর, চরমহল্লা-চানপুর, নোয়ারাই-চৌমুহনী বাজার, মাদরাসা বাজার-নোয়াকোট, বড়কাঁপন-শ্রীপুর, তাজপুর-রামপুর, ঝাওয়া, হাসনাবাদ, ঝামক, কালারুকা-তাজপুর, বাউশাবাজারসহ অসংখ্য সড়কে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ ছাতকের উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুম আহমেদ সিদ্দিকী জানান, ছাতক-দোয়ারাবাজারে সওজ বিভাগের ১২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ কিলোমিটার সড়ক। বন্যায় সড়ক ভেঙে প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী আফছর আহমেদ জানান, ছাতকে বন্যায় এলজিইডির অধীনে ২০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মেঝে ভেঙে গেছে। এতে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো জানান, চার-পাঁচটি সড়ক সাময়িকভাবে চলনসই করতে জরুরি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সকল রাস্তার তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, বন্যায় ছাতক উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে প্রচুর অর্থ ও সময়ের প্রয়োজন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া