সিরিয়া থেকে যোদ্ধা ভাড়া করছে রাশিয়া!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ১২ দিন ধরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেন সেনাদের সঙ্গে বেসামরিক মানুষরাও অংশ নিয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফেরাতে দুই দফা বৈঠক হলেও আশানুরূপ ফল পায়নি কিয়েভ। কবে যুদ্ধ বন্ধ হবে, তা কোনো পক্ষই বলতে পারছে না।

রুশ সেনারা সামরিক আগ্রাসন চালিয়েই যাচ্ছে। এরই মধ্যে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় রাস্তায় লড়াই করার জন্য সিরিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদের রাশিয়া নিয়োগ দিচ্ছে বলে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

কতজন সৈনিককে এভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তা জানাতে রাজি হননি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তবে তারা বলেছেন, এর মধ্যেই অনেকে রাশিয়ায় চলে গেছেন এবং ইউক্রেনে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

সিরিয়ার ডেইর ইযর সংবাদপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সিরিয়া থেকে যারা ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে যেতে চান, এমন স্বেচ্ছাসেবীদের ২০০ থেকে ৩০০ ডলার করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। একেকবারে তাদের অন্তত ছয়মাস সেখানে লড়াই করতে হবে।

রাশিয়ার কর্মকর্তারা মনে করেন, সিরিয়ার বহু বছরের গৃহযুদ্ধে অভিজ্ঞ এই যোদ্ধারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বড় বড় শহরগুলো দখল করতে তাদের সহায়তা করবে।

অন্যদিকে ইসরায়েলের সাবেক সেনা সদস্যরা ইউক্রেনের পক্ষে লড়াই রতে শুরু করেছে বলেও খবর প্রকাশিত হয়েছে।

ইউক্রেনের ৪ শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা 
যুদ্ধির ১২তম দিনে ইউক্রেনের চার শহরে ‘মানবিক করিডর’ দিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া। মস্কোর স্থানীয় সময় সোমবার সকাল ১০টা থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হবে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স নিউজ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে বলে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের মধ্যে ‘মানবিক করিডর’ দিতেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ, খারকিভ, মারিওপোল ও সুমি শহরে এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় রাশিয়া।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ব্যক্তিগত অনুরোধ এবং চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ‘মানবিক করিডর’ খোলা হচ্ছে।

এই যুদ্ধবিরতির সময় শহরগুলোতে কোনো ধরনের গোলাবর্ষণ করবে না বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। যুদ্ধবিরতি চলার সময় ওই চার শহরে আটকে থাকা বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে পারবে কিয়েভ। একই সঙ্গে তাদের কাছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া