সম্পর্ক বা দাম্পত্য জীবনে অশান্তির নায়ক তৃতীয় ব্যক্তির অস্তিত্ব, কীভাবে বুঝবেন?

এমডি বাবুল ভূঁইয়া: দাম্পত্য জীবনে স্বামী-স্ত্রীর বিশ্বাসের ভিতের ওপরই টিকে থাকে সংসার। কিন্তু সংসারে এ দুইয়ের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকলেই জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়। এ বিপর্যয়ের ধকল মুক্তি পেতে চাইলে সঠিক সময়ে সংসারে তৃতীয় ব্যক্তির উপস্থিতিটা আপনাকে বুঝতেই হবে।

স্বামী কিংবা স্ত্রীর জীবনে তৃতীয় কোনো ব্যক্তির অস্তিত্ব থাকলে বা তৃতীয় ব্যক্তির কোন কুপরামর্শ দিচ্ছে কিনা তা আচরণেই বেশ পরিবর্তন আসতে শুরু করবে। এ পরিবর্তন এতটাই যে চোখে পড়ার মতো। চলুন একে একে কিছু পরিবর্তনগুলো জেনে নিই-

১। সামান্য বিষয়েই বেশি রিয়েক্ট করাকে গুরুত্ব দেন। জীবনে তৃতীয় ব্যক্তি থাকলেই এমন সমস্যা তৈরি হয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

২। অল্পতেই বিরক্তবোধ হওয়া কিংবা মেজাজ দেখানো-কে অন্যতম লক্ষণ হিসেবে ধরা হয় । যদি জীবনে জীবন সঙ্গী ছাড়াও অন্য কেউ যদি স্বামী-স্ত্রীর জীবনে থাকে সেটাও একটা কারণ।

৩। আপনি কিছু বললে আপনার কথা ভাল করে শুনতে চাইছেন না আপনার সঙ্গী। যা সংসারে তৃতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বকেই জানান দেয়।

৪। নিজের ফোন ধরতে না দেয়া, ফোনে পাসওয়ার্ড ঘন ঘন পরিবর্তন করা, ফোন কল এলে সামনে রিসিভ না করার মতো অভ্যাস চোখে পড়লে এখনই সতর্ক হন।

৫। প্রায়ই সংসারে ঝগড়ার সূত্রপাত হলে কিংবা পরিবারে সময় না দিতে পারার অজুহাত হিসেবে অফিসের কাজকে সামনে টেনে আনেন অনেকেই। যা সেটা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়।

৬। হঠাৎ করেই নিজের ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন আসা শুরু করলে কিংবা নিজের স্বার্থ নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করতে দেখা গেলে তা তৃতীয় ব্যক্তির অস্তিত্বের ইঙ্গিতই বহন করে।

৭। তৃতীয় ব্যক্তিটি আস্তে আস্তে এমন কিছু কথা বলবে যা আপনি কখনো চিন্তা করবেন দুরের কথা স্বপ্নেও ভাবেন নি। আর সেই কথা গুলো আস্তে আস্তে আপনার অজান্তেই সত্যি মনে হয়ে নিজের মনের ভিতরে একটা বিষ সৃস্টি হবে। আপনার ব্রেণটাকে এমনভাবে ওয়াশ করে দিবে যা আপনার সংসার ভাঙ্গার জন্য যথেস্ট। যদি সংসার ভেঙ্গে যায় যখন আপনি বুঝতে পারলেও কিছু করার থাকবে না। কাজেই সংসারে সুখ চাইলে তৃতীয় ব্যক্তির কান কথা থেকে দুরে থাকতে হবে। এমন কি তাতে কাছে ভিড়তে দেওয়াও উচিত নয়।

 

আইএনবি নিউজ