বিশ্বজুড়ে জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ট্যালক-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড জনসন অ্যান্ড জনসন। ২০২৩ সাল থেকে পণ্যটি আর তারা বিক্রি করবে না।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২০ সালে হাজার হাজার ভোক্তা নিজেদের সুরক্ষায় জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পর কোম্পানিটির বেবি পাউডারে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক উপাদান নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর দাবি, ট্যালক পণ্যগুলোয় কারসিনোজেনের অ্যাসবেসটসের কারণে অনেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর পর থেকে দেশটিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার বিক্রি বন্ধ আছে। আর এর দুই বছরেরও বেশি সময় পর এবার ২০২৩ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী এই পণ্যটি বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হলো।

একটি বিবৃতিতে জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী পোর্টফোলিও নিরীক্ষার অংশ হিসেবে আমরা একটি বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সব ট্যালকমভিত্তিক পাউডারের উৎপাদনকে কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডারে রূপান্তরিত করা হবে।

এরইমধ্যে বিশ্বের অনেক জায়গায় কর্নস্টার্চ-ভিত্তিক বেবি পাউডার বিক্রি হচ্ছে বলেও জনসন অ্যান্ড জনসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়। ২০১৮ সালে রয়টার্সের অনুসন্ধানে জানা যায়, ট্যালক পণ্যে কারসিনোজেনের উপস্থিতি সম্পর্কে জেঅ্যান্ডজে কয়েক দশক আগে থেকেই জানতো।

১৯৭১ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ নথি, বিচারিক স্বীকারোক্তি ও অন্যান্য প্রমাণে দেখা গেছে, জেঅ্যান্ডজের পণ্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত ট্যালক ও বিক্রির জন্য প্রস্তুত পাউডারে মাঝেমধ্যে স্বল্প পরিমাণ অ্যাসবেসটস পাওয়ার বিষয়টি মেনে নিয়েছে।

এই অভিযোগ বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) ফের অস্বীকার করেছে জনসন অ্যান্ড জনসন। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, কয়েক দশকের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর দেওয়া অনুমোদন তাদের ট্যালক পণ্যকে নিরাপদ এবং অ্যাসবেস্টস-মুক্ত বলে প্রমাণ করেছে।

সূত্র: বিবিসি

আইএনবি/বিভূঁইয়া