বারহাট্টার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আসামী গ্রেফতার

নেত্রকোণা প্রতিনিধি: চাঞ্চল্যকর মনি আক্তার খাতুন (১১) হত্যা নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় নেত্রকোণা পুলিশ সুপার তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী জানান, বিগত ৩০ এপ্রিল খুন হয় স্কুল ছাত্রী মনি আক্তার খাতুন (১১)। মনি আক্তার খাতুন (১১) এর বাড়ি নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় মনি আক্তার খাতুন (১১) এর বাবা বাদী হয়ে ১ মে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

খুনের কিনারা বের করতে নেত্রকোণা পুলিশ হন্যে হয়ে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তি সহায়তায় আজ মঙ্গলবার ৫ মে সকাল ৮ ঘটিকায় বারহাট্টা থানাধীন বাউসী এলাকা থেকে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়। গ্রেফতাকৃত আসামী সুলতান মিয়া (২৬) পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ, সাং-মান্দারতলা, থানা- বারহাট্টা, জেলা- নেত্রকোণা।

 

পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সুলতান এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের বর্ণনা দেয়। সে নিজেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। তার বর্ননামতে বিগত ৩০ এপ্রিল মনি আক্তার সকাল ৭.৩০ টায় প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার পথে সে মনিকে লক্ষ্য করে।

 

সুলতানের স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় সে মনিকে ধর্ষণের চিন্তা মাথায় নেয়। যথারীতি মনি বাড়ী ফেরার সময় তাকে সুকৌশলে তার ঘরে নিয়ে যায় এবং খাটের উপর ফেলে তাকে পায়ুপথে ধর্ষণ করে। লোক জানাজানি হয়ে যাবে ভেবে সে মনিকে গলা টিপে হত্যা করে খাটের মধ্যে শুইয়ে রাখে। রাত হলে সে মনির হাত পা প্লাস্টিকের সূতা ও মুখ ওড়না দিয়ে বেঁধে প্রায় ২০০ গজ দূরে জঙ্গলে একটি গর্তে ফেলে রাখে। আসামী সুলতানকে আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া