বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা চীনের: আনন্দবাজার পত্রিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশি পণ্যে চীনের দেওয়া শুল্কমুক্ত সুবিধা ইস্যুতে ভারতের প্রভাবশালী বাংলা গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ।

‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া অতিরিক্ত ৫১৬১টি পণ্যে শুল্ক না নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯৭ শতাংশকেই শুল্কমুক্তির সুবিধা দিয়েছে বেইজিং।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাণিজ্যিক লগ্নি আর খয়রাতির টাকা ছড়িয়ে বাংলাদেশকে পাশে পাওয়ার চেষ্টা নতুন নয় চীনের।

লাদাখে ভারতের সঙ্গে সীমান্ত-সংঘর্ষে উত্তাপ ছড়ানোর পরে ফের নতুন উদ্যমে সে কাজে নেমেছে বেইজিং।

শুক্রবার বাংলাদেশের জন্য বিশেষ সুবিধার কথা ঘোষণা করেছে চীন।

তাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া অতিরিক্ত ৫১৬১টি পণ্যে শুল্ক না নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

এর ফলে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ৯৭ শতাংশকেই শুল্কমুক্তির সুবিধা দিয়েছে বেইজিং। জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে নতুন সিদ্ধান্তটি কার্যকর হচ্ছে।

আনন্দবাজার বলছে, বাংলাদেশ একমাত্র প্রতিবেশী দেশ, নানা টানাপড়েন সত্ত্বেও যাদের সঙ্গে ভারতের একটা পরীক্ষিত সুসম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণে শ্রীলঙ্কা-মালদ্বীপ থেকে উত্তরে নেপাল-ভুটান, কারও সঙ্গেই আর আগের উষ্ণ সম্পর্ক নেই ভারতের।

কূটনীতিকরা বলছেন, এই পরিস্থিতির পেছনে চীনের হাত স্পষ্ট। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বিষিয়ে দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতকে একঘরে করে ফেলার কৌশল বাস্তবায়িত করছে বেইজিং। কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশ তাদের নিশানা।

এখানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেমন তারা লগ্নি করেছে, দেশের গ্রামীণ বাজারগুলোতেও পণ্যের পসরা নিয়ে হাজির হচ্ছে চীনা ব্যবসায়ীরা। ঢাকার প্রধান শেয়ার বাজারটিও তাদের কব্জায়।

আগে থেকেই এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা) এর আওতায় ৩০৯৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা ভোগ করে বাংলাদেশ। এবার সব মিলিয়ে ৮২৫৬ পণ্যকে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দিল চীন।

এ দিন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এই সুবিধা দিয়েছে বেইজিং।

আইএনবি/ বি.ভূঁইয়া