ধর্ষণ মামলার আসামীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করল ইউপি সদস্য

কুমিল্লা প্রতিনিধি: স্বামীকে জামিন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কুমিল্লার মুরাদনগরে এক ইউপি সদস্যসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে। মুরাদনগর থানা পুলিশ এ ঘটনায় মুরাদনগর সদর ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ওরফে ভোলা মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।

অভিযুক্ত অন্যরা হলেন- উপজেলা সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের ছাফর আলী প্রধানের ছেলে মোশারফ হোসেন (৩৫), জসিম মিয়ার ছেলে রিয়াজ মিয়া (২৫), শাহিনের ছেলে জালাল মিয়া (৩৩), হাশেম মিয়ার ছেলে জীবন মিয়া ও মৃত বেয়ারী মিয়ার ছেলে রেনু মিয়া (৪৫)।

ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূ এখন ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে জানান। এ ঘটনায় সোমবার মুরাদনগর থানায় মামলা হয়। ওই দিন বিকেলেই মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মামলার বিবরণে বলা হয়, গত বছরের ১৪ নভেম্বর ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী নিজ এলাকার ২য় শ্রেণির দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা মামলায় জেলে রয়েছেন। ওই গৃহবধূ স্বামীর জামিনের জন্য ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলার কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি কাজের বাহানা দেখিয়ে রাতে আসার কথা বলেন। গত বছরের ২১ নভেম্বর রাতে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলা ভুক্তভোগীর স্বামীকে জামিনে ছাড়িয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করতে ভয়ভীতি দেখান। এ ঘটনার ১৪ দিনের মাথায় মামলার ২য় আসামি ইউপি সদস্য ভোলার সহযোগী মোশারফ হোসেন একই কায়দায় ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। পরের দিন ৩য় আসামি, পরদিন ৪র্থ আসামি, তারও একদিনের মাথায় ৫ম আসামি ও ৭ দিনের মাথায় ৬ষ্ঠ আসামি একই কৌশলে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন।

পরে ওই গৃহবধূ স্থানীয় মাতব্বরদের বিষয়টি অবহিত করলে তারা শালিস করতে রাজি না হওয়ায় থানায় গিয়ে ৬ জনকে আসামি করে তিনি মামলা দায়ের করেন।

মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, মামলার প্রধান আসামি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ভোলাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া