ঢামেকের চিকিৎসকদের হোটেল গিভেন্সিতে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক

মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের নেওয়া নানা মহতী উদ্যোগের মধ্যে বর্তমানে চিকিৎসকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য স্থান নির্ধারণ করার আহ্বান জানালে সেই ডাকে সাড়া দিয়ে এতে সামিল হলেন ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মাদ ফরহাদ আমির।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খাঁন নিখিল এবং ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব মোঃ ইসমাইল হোসেন এর আহবানে সাড়া দিয়ে মোহাম্মাদ ফরহাদ আমির করোনা যুদ্ধে তার নিজ প্রতিষ্ঠান ‘হোটেল গিভেন্সি ইন্টারন্যাশনাল’ কে মানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ ডাক্তার এবং নার্সদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবস্থা করেছেন।

ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফার্মগেট এ অবস্থিত হোটেল গিভেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এ সরকারি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এর অধীনে এবং তত্ত্বাবধানে প্রায় দেড় শতাধিক জন ডাক্তার এবং নার্সের থাকা খাওয়া সহ সকল সুযোগ সুবিধার।

হোটেল গিভেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান মোঃ বাবুল মিয়ার নির্দেশে এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরহাদ আমিরের সরাসরি তত্বাবধায়নে সেখানে ডাক্তার এবং নার্সদের থাকার জন্য সব রকম সুব্যবস্থা গ্রহণ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও হোটেল গিভেন্সি ইন্টারন্যাশনাল -এর আওতাধীন স্কাই রেস্টুরেন্ট থেকে ডাক্তার এবং নার্সদের জন্য তিন বেলা উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদ ফরহাদ আমির।

এ বিষয়ে হোটেল গিভেন্সির পরিচালক মোহাম্মদ ফরহাদ আমির প্রবাসীর দিগন্তের এই প্রতিবেদককে বলেন, “জাতির এই দুঃসময়ে যারা সামনের সারিতে থেকে মানবতার সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন তাদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে মহান আল্লাহর নিকট শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। এখানে অবস্থানকারী সকল ডাক্তার এবং নার্সদের জন্য প্রয়োজনীয় সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা ইতিমধ্যে করা হয়েছে। এছাড়াও ভবিষ্যতে যে কোন ধরনের প্রয়োজনে আমরা সর্বদা প্রস্তুত আছি।”

উল্লেখ্য, চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস ইতি মধ্যে বিশ্ব মহামারীতে রূপ নিয়েছে। এতে আক্রান্ত হয় বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন তিন লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছে ৪৬ লাখেরও অধিক মানুষ।

বাংলাদেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয় মার্চের ৮ তারিখ। এরপর করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলো ও এগিয়ে এসেছে এই মহামারীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। তবে সব থেকে বেশি ঝুঁকিতে থাকা করোনার চিকিৎসকদের জন্য এমন উদ্যোগ তাদের মনোবল আরো শক্ত করবে বলে বিশিষ্টজনদের অভিমত।