জেলেদের সাথে কোস্টগার্ডের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১ আহত ১০

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুর উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের হরিণপালায় মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সঙ্গে স্থানীয় জেলেদের সংঘর্ষে হাজেরা বেগম (৫৫) নামের এক মহিলাসহ দশ জন আহত হয়েছেন।

পিরোজপুরের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে জেলা জাটকা সংরক্ষণ কর্যক্রমের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ভান্ডারিয়ার তেলিখালী ক্যাম্পের কোস্টগার্ড সদস্যরা, মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ ও মঠবাড়িয়ার মৎস্য কর্মীদের নিয়ে প্রথমে বলেশ্বর নদীতে অবৈধ জাল আটক করে। অভিযানের এক পর্যায়ে ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের পোনা নদীর উত্তরপাড়ে কচা নদীর পুর্ব পাড়ে হরিণপালা জেলে পাড়ায় অবৈধ জাল আটক করার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী বাঁধা দেয় এবং অভিযানকারীদের উপর হামলা চালায়। প্রথমে কোস্টগার্ড ও পুলিশ লাঠিপেটা করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেস্টা করে। কিন্তু নারী-পুরুষ মিলে দলবদ্ধ হয়ে রামদা, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হামলা করলে ম্যাজিস্ট্রেট খায়রুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে কোস্টগার্ড গুলি চালাতে বাধ্য হয়। এ সময় জেলেপাড়ার মৃত আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৫৫) হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া মোতালেব হাওলাদার (৫৫) ও তার ছেলে শাহীন (৩৫) এবং আব্দুল আজিজের ছেলে জসিম হাওলাদার (২৮), সাদ্দাম (২৫), তহমিনা (৪৫), শাহনাজ (২০), সেলিম (২২), হেলাল (১৮) হেলাল (৩৫) আহত হয়। আহদের মধ্যে হাজেরা বেগমকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। মোতালেব ও শাহিনকে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তেলিখালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই নূর আমীন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান হাজেরা বেগম , মোতালেব ও শাহীন গুলিতে আহত হলেও অন্যরা লাঠিপেটায় আহত হয়েছে।

ভান্ডারিয়ার থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। এ ব্যাপারে ভান্ডারিয় থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হবে। অভিযানকালে কারেন্টজাল, বেহুন্দীজাল, ড্রামসহ প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ধরার সরঞ্জাম আটক করে পুড়ে ফেলা হয়।

আইএনবি/বিভূঁইয়া