জীবন বাজি রেখে করোনা যুদ্ধে কাজ করছেন পালং মডেল থানার ওসি আসলাম উদ্দিন

 

মোহাম্মদ জামাল মল্লিক, শরীয়তপুর।।
শরীয়তপুর সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় জনগণের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, করোনা রোগীর বাড়ি লকডাউন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিজের জীবন বাজি রেখে করোনা যুদ্ধে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পালং মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আসলাম উদ্দিন । দেশে করোনা ভাইরাসের আক্রমন শুরু হওয়ার পর থেকে দিনরাত সদর উপজেলার প্রতিটা ইউনিয়ন ঘুরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ও জনসচেতনতা লক্ষ্যে ওসির নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছেন পালং মডেল থানা পুলিশ।
জীবনযুদ্ধে আপসহীন সাহসী সৈনিক অকুতোভয় যোদ্ধা ওসি আসলাম উদ্দিন। মাঠে-প্রান্তরে ছুটে চলা এক বীর। রাত দিন চলছে তো চলছেই। এ চলা সদর উপজেলার জনগণের কল্যাণে এক নিবেদিত যাত্রা। মৃত্যুর মিছিলে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। ভয় আর আতঙ্ক নিয়ে চতুর্দিক ছুটোছুটি।

করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়ানো এই ব্যক্তিটি আর কেউ নয়, তিনি জনতার ওসি খ্যাত পালং থানার ওসি আসলাম উদ্দিন।
১৯৭১ সালের যুদ্ধ ছিল দেশ থেকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করা। ২০২০ সালের যুদ্ধটা হলো করোনা নামক সংক্রমণব্যাধি থেকে ঘরবন্দি হয়ে নিজেকে রক্ষা করা। আর এটা মুক্তিযুদ্ধের মতো জীবন বাজির কোনো ঘটনা নয়। সচেতনতাই এ ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র পথ। আসুন, সকলে মিলে এ প্রতিরোধ যাত্রায় সুর তুলি, ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে বসে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। আমরা সচেতন হলে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন।

ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, জীবন মানেই যুদ্ধ। যুদ্ধে টিকে থাকার চেয়ে কঠিন হলো মানসিক শক্তিতে নিজেকে বলীয়ান রাখা। আর সেই যুদ্ধের সাথে আমরা লড়াই করছি। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করবেন। তবে আমাদের সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিদিন পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে গণজমায়েত বন্ধ করতে পুলিশি টহল জোরদার করা হচ্ছে। আমি নিজে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে খেয়ে না-খেয়ে কোনোমতে সময় পার করছি। তবু আমি দায়িত্বের সাথে কোনো রকম আপস করতে রাজি নই। এ সীমান্তবর্তী অঞ্চলকে একটি সুন্দর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উপহার দেওয়াই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে। তবে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে সকল স্তরের ব্যক্তিদের করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় সচেতনমহলের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।