একটি জনপদের পাল্টে যাওয়ার গল্প

জোবায়দা হক অজন্তা :
একটি বাস্তব গল্প দিয়ে শুরু করি- ‘২০১৮ সালের ৭ আগস্ট, দিনটি ছিল মঙ্গলবার। সেই দিনের শোকাবহ ও দুঃসহ স্মৃতি আজও আমাদের নড়িয়াবাসীকে তাড়িত করে। ওই দিন দুপুর ২টার দিকে যখন দুপুরের খাবার শেষ করে অনেকে অলস ঘুমের কুলে আশ্রয় নিয়েছে, অনেকে নিজ নিজ কাজে ব্যস্ত তখনই কেদারপুর ইউনিয়নের সাধুরবাজার লঞ্চঘাটে ৩০ মিটার জায়গা নদীতে ধসে পড়ে। আটটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন সেখানে একটি দোকান থেকে মাহিন্দ্র গাড়িতে সিমেন্ট তুলছিলেন ১৫ জন শ্রমিক। ওই মাহিন্দ্র গাড়ি নিয়ে শ্রমিকরা নদীতে নিমজ্জিত হয়ে যায়। এ ছাড়া দোকান ও লঞ্চঘাটে আরো কয়েকজন মানুষ ছিল। তারাও নদীতে তলিয়ে যায়।’

এটি পদ্মার ভাঙনের শত শত ঘটনার একটি মাত্র। এভাবে যুগে যুগে শত শত বাড়ি ঘর, পুল-কালভার্ট, রাস্তাঘাট, মাদ্রাসা-মসজিদ, স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় স্থাপনাসহ হাজার বছরের অনেক ঐতিহ্যবাহী ও স্মৃতি বিজরিত স্থান চলে গেছে পদ্মার গর্ভে।

পদ্মা একদা নড়িয়া-সখিপুরের মানুষের জন্য ছিল আতঙ্ক। বর্ষা এলেই এতদাঞ্চলের মানুষগুলোর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করতো। এই বুঝি বাড়ি, ঘর, বসতভিটা, কবরস্থান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্বাস্থ্যকেন্দ্র পদ্মার বুকে হারিয়ে গেল! এই বুঝি আমার মা-বাবার কবরটা নদীতে তলিয়ে গেল। এই বুঝি শতবছরের পুরনো মসজিদটা নদীর বুকে বিলীন হয়ে গেল, যে মসজিদে আমাদের বাবা, দাদা, দাদার দাদা নামাজ আদায় করেছেন। শেষ সম্বল এক টুকরো জমি, বসতভিটা, থালা-বাসন ভাসিয়ে নিয়ে গেল সর্বনাশা পদ্মা। এই পদ্মা কেড়ে নিয়েছে শত-সহস্র মানুষের মাথার ছাদ, আয়ের এক মাত্র উৎস। কেড়ে নিয়েছে মুখ চেনা প্রিয় কত মানুষকে।
নড়িয়ার নদী ভাঙন এখন শুধুই অতীত। এই জনপদের জননেতা সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীমের মতো একজন মানুষের আন্তরিকতা, মমত্ববোধ আর প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার এতদাঞ্চলের মানুষের প্রতি ভালবাসায় এটি সম্ভব হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি যদি আন্তরিক হন তাহলে তিনি যে একটি এলাকার চিত্র সম্পূর্ণ পাল্টে দিতে পারেন তার প্রমাণ এনামুল হক শামীম। এই পদ্মার ভাঙন একদিন দুই দিনের নয়, শত বছর ধরে চলে আসছে। এনামুল হক শামীমের মতো অতীতে কেউ হয়তো এমন করে ভাবেননি। এলাকার মানুষকে নিয়ে কারো ভাবার সময় হয়নি। আমার পিতাও ওই এলাকার মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মনোনয়নে তিনি স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা করাকালেই মাত্র কয়েক মাসের মাথায় আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। এরপর থমকে যায় এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা। দেশ এগিয়ে গেলেও আমাদের এলাকাটি পেছনেই পড়ে থাকে। জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে এনামুল হক শামীমকে না পাঠাতেন, তাহলে হয়তো এতোদিনে নড়িয়া-সখিপুর বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেত। পদ্মার ভাঙন থেকে এলাকাকে রক্ষা করতে দিনের পর দিন, রাতের পর রাত এনামুল হক শামীম নদীর পাড়ে কাটিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে নিজে উপস্থিত থেকে নদীতে বালির বস্তা ফেলেছেন। মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছা আর শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে নড়িয়া-সখিপুর এখন উন্নয়নের মূলধারার সাথে যুক্ত হতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক সহযোগিতায় এনামুল হক শামীম বিগত ৫ বছরে নড়িয়া-সখিপুরের যে উন্নয়ন করেছেন বিগত শতবছরেও এতো উন্নয়নমূলক কাজ হয়নি। এখন আর সাধুর বাজার বা মুলফৎগঞ্জ গেলে চেনার উপায় নেই যে, এটি এক সময় ভাঙন কবলিত এলাকা ছিল। নদীর বাঁধ এখন শত শত পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত। নদীর পাড়কে ঘিরে গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্য, হয়েছে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান। মাত্র ৫ বছরে ওই এলাকার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কয়েক হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। এরমধ্যে অনেক কাজ সমাপ্ত হয়েছে, অনেকগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। কারণ একটাই শরীয়তপুরের মানুষকে শেখ হাসিনা বড্ড ভালবাসেন। আর এই ভালবাসার কারণ এই এলাকার মানুষ বারবার বঙ্গবন্ধু-শেখ হাসিনার নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছে। ওই এলাকায় নৌকা কখনো পরাজিত হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না। এলাকার মানুষের আশা আগামী নির্বাচনেও এনামুল হক শামীমের হাত ধরে নড়িয়া-সখিপুরে হক-ভাসানী, একে ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জননেত্রী শেখ হাসিনা আর নূরুল হক হাওলাদারের নৌকা ভোটের দিক থেকে সর্বকালের সকল রেকর্ড অতিক্রম করবে।
নড়িয়া-সখিপুরসহ সমগ্র শরীয়তপুরকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষাকল্পে প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের পাশাপাশি ওই এলাকায় হয়েছে ব্যাপক উন্নয়ন। এরমধ্যে রয়েছে- শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন, নড়িয়া-সখিপুরে শতভাগ বিদ্যুতায়ন, সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে চরআত্রা, নওপাড়া, কাঁচিকাটা, কুন্ডেরচর ও উত্তর তারাবুনিয়ায় বিদ্যুৎ প্রদান, নড়িয়া-সখিপুরে বিদ্যুতের জোনাল অফিস স্থাপন এবং সাবস্টেশনসমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন সাবস্টেশনের অনুমোদন, প্রত্যেকটি আবেদনকৃত স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা এমপিওভুক্তকরণ, ১৫টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসা’র ভবন ও দেয়াল নির্মাণ, নড়িয়া সরকারি কলেজ ও হাজী শরীয়ত উল্লাহ কলেজসহ সকল কলেজকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আধুনিকরণ এবং সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন, নড়িয়া ও সখিপুরে সকল গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ মেরামত ও বর্ধিতকরণ, নড়িয়া ও সখিপুরে প্রায় ৫ হাজার গভীর নলকূপ প্রদান, নড়িয়ায় নতুন হাসপাতাল অনুমোদন এবং মুলফৎগঞ্জ হাসপাতাল আধুনিকরণ ও তারাবুনিয়ায় ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল চালু, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাব-ডিভিশন, নড়িয়াতে পানি ভবন ও চরআত্রায় আঃ জলিল মুন্সি ডাকবাংলো নির্মাণ এবং নড়িয়া ও সখিপুরে আরো ২টি ডাকবাংলো নির্মাণ প্রক্রিয়াধীন। নড়িয়া পৌরসভাকে ‘ক’ শ্রেণিতে রূপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন ও পৌরসভাকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তকরণ, যার মাধ্যমে এ বছরই ৫০ কোটি টাকার কাজ শুরু হবে, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ১১০ জনকে ৩৫ লাখ টাকা ও এনামুল হক শামীমের পক্ষ থেকে ২০০ জনকে ২০ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান, নড়িয়া ও সখিপুরের বিভিন্ন মসজিদ মাদ্রাসার আলেম-ওলামা ও হাফেজদের প্রায় ৫ হাজার পবিত্র কোরআন শরীফ উপহার প্রদান, জয় বাংলা এভিনিউ স্থাপনের মাধ্যমে নদী ভাঙন কবলিত এলাকাকে পর্যটন এরিয়াতে রূপান্তর, ভাষা সৈনিক গোলাম মাওলা উড়াল সেতু, জয় বাংলা ঘাটলা ও দক্ষিণ তারাবুনিয়াতে জয় বাংলা সেতু নির্মাণ এবং প্রায় ২০০টি বাঁশের সাকোকে কাঠের পুলে রূপান্তর, চরভাগা ‘বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ’কে সরকারিকরণ, চরআত্রা আজিজিয়া উচ্চ বিদ্যালয়কে কলেজে রূপান্তর এবং রাজনগর ও কাঁচিকাটায় উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকরণ, করোনাকালীন সর্বদা জনগণের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান ও শীতার্তদের মাঝে প্রতি বছর পর্যাপ্ত পরিমাণ শীতবস্ত্র এবং সাহায্য সহযোগিতা প্রদান, নড়িয়া ও সখিপুরে আওয়ামী লীগের অফিস আধুনিকরণ, ৯টি ইউনিয়নে স্থায়ী আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণ এবং বাকী ইউনিয়নগুলোতেও প্রক্রিয়াধীন, নড়িয়ায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপন এবং সখিপুরে প্রক্রিয়াধীন, সখিপুর উপজেলা গঠনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলমান, প্রায় ৭০০টি মসজিদ-মাদ্রাসা ও ২৫টি মন্দিরে নগদ অর্থ ও অনুদান প্রদান, প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পর্যাপ্ত ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা প্রদান, নড়িয়া ও সখিপুরে শেখ রাসেল স্টেডিয়াম ও সখিপুরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, এএসপি সার্কেল অফিস নির্মাণের কাজ প্রক্রিয়াধীন, নড়িয়ায় উপজেলা কার্যালয়, ভূমি অফিস নির্মাণ ও মডেল মসজিদ নির্মাণ শেষ পর্যায়ে, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় নড়িয়ায় ৯০০ এবং সখিপুরে ৬০০, সর্বমোট ১৫০০ পরিবারকে জমি ও ঘর প্রদান এবং ‘জমি আছে ঘর নেই’ প্রকল্পের আওতায় ২০০ পরিবারকে ৬ লাখ টাকার দুর্যোগ সহনীয় ঘর প্রদান, ২১ জন আলেম-ওলামা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজ অর্থায়নে পবিত্র ওমরাহ্ হজ্বে প্রেরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবসগুলোতে উপহার প্রদান, মাদক, ইভটিজিং ও সকল অপরাধ নির্মূলে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জিরো টলারেন্স, আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠনকে ঐক্যবদ্ধ, সুশৃঙ্খলকরণ ও কমিটি গঠন, আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও কম্পিউটার সামগ্রী প্রদান, মেঘনা সেতু (শরীয়তপুর-চাঁদপুর) করার প্রক্রিয়া চলমান, নড়িয়া ও সখিপুরে প্রায় ১৪ হাজার বান্ডেল ঢেউটিন ও ৪২ লাখ টাকা প্রদান, পদ্মা সেতু থেকে শরীয়তপুর হয়ে আলুবাজার ফেরীঘাট পর্যন্ত চার লেন রাস্তা অনুমোদন ও কাজ চলমান। এগুলো বিগত ৫ বছরের উন্নয়ন কার্যক্রমের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা।
এবার আসি তার মানবিক কার্যক্রমের কথায়। শত শত মানবিক কাজের মধ্যে দু’একটি এখানে তুলে ধরছি। ৩০ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত নড়িয়ার জালিয়াহাটি গ্রামের সুলতান দেওয়ানের স্ত্রী এবং দুই কন্যা চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এটি দেখে এনামুল হক শামীম হাসপাতালে ছুটে যান এবং চিকিৎসার জন্য তাদের আর্থিক সহযোগিতা করেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন মানুষ যখন আপনজনদের চিকিৎসা দিতে বা তাদের সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে ভয় পেতো তখন এনামুল হক শামীম চালু করেন- ‘ডাক্তারের কাছে রোগী নয়, রোগীর কাছে ডাক্তার’ শিরোনামে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ডাক্তাররা রোগীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার পাশাপাশি তিনি নিজে রোগীদের বাড়িতে ফল-পথ্য পৌঁছে দিয়েছেন নিজ হাতে। অসহায়, কর্ম হারানো মানুষের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন জরুরি ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী। সখিপুরের চরভাগা ইউনিয়নের মানিক দর্জি মালয়েশিয়ায় কর্মরত অবস্থায় মারা যান। তার পাসপোর্টে বাবা-মায়ের নামের অমিল থাকায় মরদেহ দেশে আনা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়। পরে এনামুল হক শামীম নিজ চেষ্টায় মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ হাজার রিঙ্গিত আদায় করে দেন। রাজিব হাসান নামে এক শিক্ষার্থী মেডিকেলে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েও অর্থের অভাবে ভর্তি হতে পারছিল না। পরে তিনি তার মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশরাফুন্নেছা ফাউন্ডেশন থেকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে তাকে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ করে দেন। ডিঙ্গামানিকে রূপা ও তার পরিবার সহায় সম্বল হারিয়ে অন্যের রান্নাঘরে আশ্রয় নিয়েছিল ৩ বেলা খাবার জুটতো না। সরকারের এতো উন্নয়নের ছোঁয়া রূপাদের জীবনে পড়েনি। এনামুল হক শামীম জানতে পেরে নিজে ওদের বাড়িতে যান এবং এদের সার্বিক দায়িত্ব নেন। রূপার জন্য একটি সম্মানজনক চাকরিরও ব্যবস্থা করে দেন। সখিপুর উপজেলার এক অটোরিকশা চালকের উপার্জনের একমাত্র সম্বল অটোরিকশাটি চুরি হয়ে গেলে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলে তাদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুঃখভরা স্ট্যাটাস দেয়। ওই স্ট্যাটাসে সে তাদের পরিবারের ভরণপোষণ ও লেখাপড়ার অনিশ্চয়তার কথা তুলে ধরে। স্ট্যাটাসটি মানবিক রাজনীতিক এনামুল হক শামীমের চোখে পড়ে। সাথে সাথে সে ওই অটো চালকের বাড়িতে লোক পাঠিয়ে তাকে একটি নতুন অটোরিকশা কিনে দেন এবং তার সন্তানদের পড়াশুনার সার্বিক দায়িত্ব নেন।

লেখক: কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এবং উপদেষ্টা নড়িয়া আওয়ামী লীগ।