ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তা আসতে শুরু করেছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:  যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক সহায়তার কিছু চালান ইউক্রেনে আসতে শুরু করেছে। হোয়াইট হাউজের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সিএনএন।

চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনকে ৮০ কোটি ডলারের অতিরিক্ত সামরিক সহায়তার অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

তিনি জানিয়েছিলেন যে, ইউক্রেনের পূর্বে রাশিয়ার প্রত্যাশিত ‘বৃহত্তর আক্রমণ’ মোকাবিলার জন্য তৈরি করা নতুন অস্ত্র এই সামরিক সহায়তায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

এর আগে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ না করলে ‘অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করা হয়।

মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অত্যন্ত স্পর্শকাতর’ অস্ত্র-সরঞ্জাম ইউক্রেনকে দিয়ে ‘সংঘাতে তেল ঢালা হচ্ছে’ যা ‘অপ্রত্যাশিত পরিণতি’ ডেকে আনতে পারে।

এদিকে নতুন সহায়তার আওতায় ইউক্রেনে দূরপাল্লার কামান, উপকূল প্রতিরক্ষা ড্রোন, ভারি সাঁজোয়া যান এবং ট্যাঙ্ক ও বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

অপরদিকে মারিওপোল শহরে ইউক্রেনের সৈন্যদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে রাশিয়া বলেছে, যারা অস্ত্র সমর্পণ করবে তাদের জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হবে। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগেই বলেছেন, মারিওপোলে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করার অর্থ হলো আলোচনার সমাপ্তি টেনে দেওয়া।

রাশিয়া বলছে, পশ্চিমা অস্ত্রবাহী ইউক্রেনের একটি সামরিক বিমান তারা ভূপাতিত করেছে। ইউক্রেনের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে ওডেশা শহরের বাইরে এই ঘটনা ঘটেছে। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে নিরপেক্ষ কোন সূত্র থেকে এ তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া