আফগানিস্তানে শান্তি চায় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আফগানিস্তানে প্রায় ২০ বছরের লড়াই শেষে দেশে ফিরছে মার্কিন বাহিনী। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো আশঙ্কায় ভারত। কারণ আফগানিস্তানে ভারত ব্যাপক অবকাঠামোগত কাজ করেছে এবং কাবুলে ভারতের কয়েক হাজার নাগরিক অবস্থান করছে।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সেরগেই লাভরভের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তবে সব চেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানো অত্যন্ত জরুরি। সেখানে হিংসা থামানো সব চেয়ে জরুরি কাজ।

ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানে শান্তি ফেরাতে হলে ভারত এবং রাশিয়াকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। সে দেশে যে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি হয়েছে, তাকে নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক আফগানিস্তানের প্রশ্নে আমরা দুই দেশই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সবার স্বার্থেই এই এলাকাগুলিতে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা অত্যন্ত দরকার।

ভারতের স্থানীয় একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ভারতের মোদি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সিরিয়া, লিবিয়া, ইরানের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার ভারতের স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে চলেছে নয়া দিল্লি। ওই খবরে বলা হয়, কাবুলে দূতাবাস ছাড়াও আফগানিস্তানের চার শহরে কান্দাহার, মাজার-ই-শরিফ, জালালাবাদ, হায়রাতে ভারতের কনস্যুলেট রয়েছে। এর মধ্যে তালেবানের হামলার আশঙ্কায় জালালাবাদ, হায়রাতে আগেই কনস্যুলেট বন্ধ করে ভারত। এবার বাকি দুটি শহরে কনস্যুলেট বন্ধের কাজ চলছে।

এএনআই’র খবরে বলা হয়, কান্দাহার ও মাজারের ভারতের কনস্যুলেটে অন্তত ৫০০ কর্মী কাজ করেন। কাবুলের ভারতীয় দূতাবাসেও রয়েছে বহু কর্মী। টালমাটাল পরিস্থিতিতে মোদি সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। ফলে আফগানিস্তানে কর্মরত ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিচ্ছে দিল্লি।

এর আগে গত ১ জুলাই কাবুলের ভারতীয় দূতাবাস ভারতীয় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলে, সশস্ত্র সংগঠনগুলো আফগানিস্তানের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাচ্ছে। তাদের নিশানায় রয়েছে সেনাবাহিনী, সরকারি দপ্তর ও সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনা থেকে ভারতীয় নাগরিকরা ছাড় পাবেন বলে ভাবার কোনো কারণ নেই। বিশেষ করে অপহরণের ভয় রয়েছে। তাই আফগানিস্তানে কর্মরত বা ভ্রমণরত যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।
সূত্র: এএনআই, আনন্দবাজার পত্রিকা

আইএনবি/বিভূঁইয়া