৮বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণ করল ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র!

লোহাগড়া প্রতিনিধি: নড়াইলের লোহাগড়ায় চতুর্থ শ্রেণির মাদ্রাসার এক ছাত্রের বিরুদ্ধে আট বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ায় অভিযুক্ত ধর্ষক আঃ কাদের ওরফে ছোটনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছোটন কাশিপুর ইউনিয়নের ধোপাদহ পূর্বপাড়া গ্রামের রাজ্জাক ফকিরের ছেলে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল বিকালে খেলাধুলা করার সময় প্রতিবেশী শিশু শ্রেণীর ছাত্রীকে (৮) পরিত্যক্ত বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করে ছোটন।

এ ঘটনায় ৮ এপ্রিল ওই শিশুর মা বাদী হয়ে আব্দুল কাদের ওরফে ছোটনকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৮। পরবর্তীতে পুলিশ আব্দুল কাদের ওরফে ছোটকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

তবে অভিযুক্ত ধর্ষকের মা কোহিনুর বেগমের দাবি, জমা-জমি ও পূর্বশত্রুতার কারণে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফাঁসানো হয়েছে।

কোহিনুর বেগম আরো অভিযোগ করেন, যে পরিত্যাক্ত ঘরে ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে সে ঘরের দুপাশেই সবসময় লোকজন থাকে। কেউ কোনো চিৎকার শোনেনি বা তখনই কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অনেক পরে গিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই সময় গ্রামের কয়েকজন মাতুব্বর আমার কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করেছিলেন কিন্তু তাদের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মূলত মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কথিত ধর্ষকের বাড়ির পার্শ্ববর্তী পরিত্যাক্ত ওই ঘরের নিকটতম বসবাসকারী নারীরা বলছেন, আমরা সবসময়তো বাড়িতেই ছিলাম কোনো চিৎকার, চেচামেচি, শব্দ শুনিনি। কোন অভিযোগও তখন কেউ দেয়নি। পরে শুনলাম ওই শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে।

লোহাগড়া থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ আমানুল্লাহ আল বারী বলেন, ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষার রিপোর্ট পেয়েছি। ধর্ষণের আলামত বলতে যেটা বোঝায় সেটা পাওয়া যায়নি। কিন্তু যৌনাঙ্গে ক্ষত আছে বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। এটাকে যৌন নিপীড়ন বলা যায়, ধর্ষণ নয়। তবে, তদন্ত চলছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আইএনবি/বি. ভূঁইয়া