৪টি মিসাইল ছুঁড়লো দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:প্রথমবারের মতো পাঁচ বছরের মধ্যে জাপানের ওপর দিয়ে মধ্যবর্তী পাল্লার ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে উত্তর কোরিয়া। এরই প্রতিক্রিয়া হিসেবে জাপান সাগরে এবার ৪টি মিসাইল ছুঁড়লো দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী। খবর বিবিসির।

বুধবার (৫ অক্টোবর) দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ’র (জেসিএস) বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন সামরিক বাহিনী আর্মি ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সিস্টেম (এটিএসিএমএস) মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। সবগুলো ক্ষেপণাস্ত্রই নকল লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে।

এর আগে, মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) উত্তর কোরিয়ার নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গিয়ে প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ে। জাপান বলছে, প্রশান্ত মহাসাগরে পড়ার আগে ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে উড়ে গেছে। তাদের সরকার নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্কও করে।

সম্প্রতি এই অঞ্চলে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সঙ্গে সামরিক মহড়া করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার এই মিসাইল নিক্ষেপ করেছে। এটিকে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা।

উত্তর কোরিয়ার মিসাইল নিক্ষেপের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছিল, মধ্যবর্তী পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রটি চীনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার কেন্দ্রীয় সীমান্তের কাছে মুপিয়ং-রি থেকে ছোঁড়া হয়। এটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২২ মিনিটে ছোঁড়া হয়। ২২ মিনিট পরে ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করে।

জাপানের প্রধান মন্ত্রীপরিষদের মন্ত্রী হিরোকাজু মাতসুনো জানিয়েছিলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাইরে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার আগে বিধ্বস্ত হয়েছে।

এর পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে ‘উস্কানি’ বলে অভিহিত করেন এবং ‘কঠোর জবাব’ দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। পরে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র ৪টি মিসাইল ছুঁড়লো।

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘স্পষ্টভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি’ হিসাবে উল্লেখ করে এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের নিন্দা করেছেন ‘কঠোর ভাষায়’।

আইএনবি/বিভূঁইয়া