হত্যা মামলায় বিএনপির খায়রুল কবির খোকনের জামিন বহাল

কোর্ট রিপোর্টার

নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই নেতা হত্যার ঘটনার মামলায় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে হাইকোর্টের দেওয়া আগাম জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

জামিন স্থগিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে সোমবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। খোকনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সগীর হোসেন লিয়ন।

এর আগে গত ৫ জুন নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই নেতা হত্যার ঘটনার মামলায় আগাম জামিন পান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।

বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে দুই মামলায় ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী ছাত্রদলের জেলা কমিটি ঘোষণার পর থেকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান ও ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাইনুদ্দিন ভূঁইয়ার সঙ্গে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ ও সদস্য সচিব রিফাতের বিরোধ চলে আসছিল। বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন প্রকাশ্যে নাহিদ ও রিফাতকে সমর্থন দিয়ে আসছেন। কমিটি ঘোষণার পর থেকে পদবঞ্চিতরা সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে প্রতিবাদ মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ, মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ শান্তিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও আন্দোলন করে আসছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে দুপুরে সাদেক ও মাইনুদ্দিনের নেতৃত্বে পিকআপভ্যান ও ১শ মোটরসাইকেল নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতারা। বিক্ষোভ মিছিলটি চিনিশপুর বিএনপির কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিল। মিছিলটি ভেলানগর পার হয়ে চিনিশপুর সড়কে প্রবেশ করা মাত্রই পরিকল্পিতভাবে খায়রুল কবির খোকনের নির্দেশে আগে থেকে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা বিক্ষোভ মিছিলে ককটেল নিক্ষেপ করে। পরে তারা লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে অনেক নেতাকর্মীকে আহত করে। ওই সময় সন্ত্রাসীরা সাদেকুর রহমানকে ঘেরাও করে খুব কাছ থেকে তার মাথায় গুলি করে। এ ঘটনায় আশরাফুল নামে আরও একজনকে গুলি করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে প্রথমে জেলা হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সাদেকুর রহমান মারা যায়। এর একদিন পর ২৬ মে সকালে অপর ছাত্রদল নেতা আশরাফুল মারা যায়।

পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়।

কেবি/আইএ