আইএনবি ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন শিগগিরই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা টিকা পাবে বলে ।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে জানান, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসসি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা জানান।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্কুল কলেজ আমরা খুলে দিয়েছি। এখন স্বাভাবিকভাবেই চলবে। সেই সঙ্গে টিকাও.. এবং আমরা প্রাইমারি পর্যন্ত টিকা… কোন বয়স পর্যন্ত টিকা দেওয়া যেতে পারে। আমরা ১২ বছর পর্যন্ত দিচ্ছি। ডব্লিউএইচও’র কাছে ইতোমধ্যে আবেদন করা হয়েছে, আরও অল্প বয়সের শিশুদের জন্য টিকা দেওয়ার অনুমতির জন্য। আমার মনে হয়, এটা এসে যাবে। কাজেই আমরা তখন মনে হয় সবাইকে টিকা দিতে পারব। ’
‘যদি ৭-৮ বছর থেকে বা ১০ বছর থেকে টিকা দিতে পারি, তাহলে আমাদের প্রাইমারিতে আর কোনো অসুবিধা হবে না। তারা নিশ্চিন্তে স্কুলে যেতে পারবে’, যোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্কুল খুলে দিয়েছি। সঙ্গে সঙ্গে তাদের সুরক্ষাটা একান্তভাবে দরকার এবং আমরা সেটা করব।’
এ সময় দেশীয় মেধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে চাই। প্রত্যেকে মানুষের ন্যূনতম প্রযুক্তিজ্ঞান থাকুক, সেটা চাই। প্রযুক্তি বিভেদ দূর করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করতে হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দেশকে এমনভাবে গড়তে চাই, যেন সবাই প্রযুক্তি জ্ঞান সস্পন্ন হয়। কিছুটা হলেও যেন তারা প্রযুক্তির বিষয়ে জানে।’
দেশের প্রায় ৭০ ভাগের কাছাকাছি মানুষ টিকা পেয়েছেন। টিকা এখন সবাইকে নিতে হবে। এখন করোনার টিকা নিতে মানুষের ভেতরে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আইএনবি/বিভূঁইয়া