রাঙ্গামাটিতে করোনার প্রভাব বিপাকে সংবাদকর্মীরা

রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি : পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির দুস্থ ও নিম্ন আয়ের সংবাদকর্মীরা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির প্রভাবে চরম বিপাকে পড়েছেন। জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত ১০ উপজেলাসহ জেলার ৬০-৭০ সংবাদকর্মীর মধ্যে প্রায় অনেকের অর্থনৈতিক অবস্থার হাল খুবই করুণ।

অপরদিকে করোনাভাইরাসের আগ্রাসী থাবায়, অস্থির ও আতঙ্কে সারা দেশের মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দেশব্যাপী সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। তার অংশে জনগণের নিরাপত্তায় আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। এ অবস্থার মধ্যে গত প্রায় দেড় মাসের অধিক সময় ধরে যার যার অবস্থান থেকে চলমান পরিস্থিতির সংবাদ কাভার দিয়ে যাচ্ছেন, এ জেলার সংবাদকর্মীরা। তারা একাত্ম হয়ে কাজ করছেন, প্রশাসনের পাশে থেকে। কিন্তু নিজেদের অর্থনৈতিক দৈন্য-দশার মধ্যে পেশাগত কাজ করতে গিয়ে বর্তমানে চরম বিপাকের সম্মুখীন জেলার প্রায় সংবাদকর্মী।

প্রতিষ্ঠিত কয়েকজন সংবাদকর্মী সুত্রে জানা গেছে, এ জেলার বেশিরভাগ সংবাদকর্মীর আর্থিক উপার্জন একেবারে সীমিত ও এবং ক্ষুদ্র পরিসরের। নিম্ন আয়ের এসব সংবাদকর্মীর অনেকের সংসার ও পরিবার-পরিজন চলে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে। তার মধ্যে গত দেড় মাসের করোনার প্রভাবে স্থবির অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে নেমে আসে আরও করুণ হাল। এ অবস্থার মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একদিকে যেমন নিজেদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা, অন্যদিকে ঘরের ভেতর থেকে পরিবার-পরিজন রক্ষায় আর্থিকভাবে চরম হাবুডুবু খেতে হচ্ছে জেলার বেশিরভাগ সংবাদকর্মীকে। অনেকে বলছেন, ঘরে চাল নেই, পকেট খালি। কিন্তু না পারছেন কাউকে বলতে না পারছেন কারও কাছে হাত পাততে। না পারছেন সইতে।

যুগান্তর জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি রিপোটার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা বলেন, এমন দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিকসহ পেশাগত দায়িত্ব পালনে খুবই করুণ অবস্থার সময় পার করছেন রাঙ্গামাটির সংবাদকর্মীরা। এ অবস্থায় সরকারের প্রণোদনা সহায়তার আবেদন জানান তিনি।

রাঙ্গামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাংবাদিক মো.সোলাইমান বলেন, এমন দুর্যোগ মুহূর্তে খুবই সংকটে পড়েছেন, রাঙ্গামাটিতে কর্মরত নিম্ন আয়ের সংবাদকর্মীরা। তাদের সহায়তার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে মানবিক বিবেচনার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যন্ত পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির সংবাদকর্মীদের জন্য সরকারের প্রণোদনা সহায়তা জরুরি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া