মিশর-তুরস্কের পেঁয়াজ আনতে লাগবে ১৫-২০ দিন

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় দেশের বাজারে দাম বেড়েছে কয়েক গুণ। বর্তমানে ১১০ থেকে এলাকা ভেদে ১৪০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এ পরিস্থিত থেকে উত্তরণে সরকার মিশর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছে। তবে সেটি ১৫-২০ দিনের আগে সম্ভব নয় বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য পরামর্শক (দ্রব্যমূল্য পর্যালোচনা পূর্বাভাস সেল) গোলাম খোরশেদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে দাম কমবে। কিন্তু এর জন্য আরও ১৫ থেকে ২০ দিন অপেক্ষা করতে হবে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোরব) বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও ১১০ কোথাও ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। অনেকেই বলছেন, ১৪০ টাকা দরেও বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো এলাকায় চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রির কারণে জরিমাণাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিক্রেতারা বলছেন, পেঁয়াজের দাম প্রতিদিনই বাড়ছে। ভারত পেঁয়াজ না দিলে দাম আরও বাড়বে। বিদেশ থেকে কোনো কিছু আমদানিতে লম্ব সময়ের প্রয়োজন হয়। সে পর্যন্ত দাম এরকমই থাকবে।

গত ১৩ সেপ্টেম্বর বন্যার কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ন্যূনতম মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। পরে, গত রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয় তারা। এরপর থেকেই বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম দ্রুত বাড়তে থাকে।

জানা গেছে, নভেম্বর মাসের মধ্যভাগে দেশে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। তখন পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। তবে, আপাতত ১৫ দিনের আগে পেঁয়াজের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।

টিসিবি জানায়, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে রাখতে ট্রাকে করে ৪৫ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি। ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি স্থানে চলছে এ কার্যক্রম। এছাড়া, চট্টগ্রামসহ অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পণ্য বিক্রি চলবে। তবে, শুক্রবার বন্ধ থাকবে। একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ দুই কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারবেন।