মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে ভাতিজিদের বিরুদ্ধে চাচার সংবাদ সম্মেলন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে ভাতিজি। এ ঘটনায় আজ বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার বিকেনগর পূর্ব কাজী কান্দি গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম। এসময় বিকেনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান জুলহাস মৃধা, পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান আকন্দ, সমাজসেবক কাজী এসকান্দার, জাজিরা থানা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ঢালী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল লতিফ মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদুজ্জামানসহ ২৫/৩০জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম বলেন, জমির সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গত ১৭ মার্চ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আমার ভাতিজি ইসরাত জাহান ইতি ও ডালিয়া আক্তার জাজিরা থেকে বিকেনগর পূর্ব কাজী কান্দি গ্রামে ভাই ইদ্রিস মাদবরের বাড়িতে আসেন। জমির বিষয়ে ভাতিজিদের নিয়ে আলাপ আলোচনায় বসি। এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী ব্যাপারীসহ খালেক মাদবর, ইদ্রিস মাদবর, নুরুল আমিন বয়াতি, আনিছ ব্যাপারী ও আমরা উপস্থিত ছিলাম। আলোচনার এক পর্যায় ইতি ও ডালিয়া মিলে আমাকে ও আমার ছোট ভাই ইদ্রিস মাদবর, তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। এক পর্যায়ে ইতি ও ডালিয়া আমাকে মারধর করতে আসে। আমরা প্রতিবাদ করি। পরে ইদ্রিস মাদবরকে মারদর করে। এসময় ইতি ও ডালিয়াকে দুইটি থাপ্পড় মারে ইদ্রিস মাদবর ও তার ছেলে। পরে ইতি বাদি হয়ে জাজিরা থানায় ও শরীয়তপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আমিসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিনটি মিথ্যা মামলা করে ইতি। বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

পালেরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুর রহমান আকন্দ বলেন, চাচা ও ভাতিজিদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। মিমাংসার জন্য গ্রামে বসে কয়েকবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তারা মিমাংসা হয়নি। আমরা বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার জাজিরা থানায় আমরা বসবো।