আইএনবি ডেস্ক: জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিকদের রাতের আঁধারে লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) ভোররাত সাড়ে তিনটা থেকে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
আন্দোলনকারীরা জানান, পুলিশের লাঠিচার্জে বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও পোশাক শ্রমিক আহত হয়েছেন। কারও ভেঙেছে হাত, কেউবা চোট পেয়েছেন মাথা, কপাল, হাঁটু কিংবা পিঠে।
কয়েকজন শিক্ষক কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে আসছিলাম। আমাদের অবস্থান সরকারবিরোধী না। গত ২০-২২ বছর ধরে চাকরি করেও বেতন-ভাতা পাইনি। সরকারের কাছে দু’বেলা খাওয়ার মতো বেতনের দাবিতে এসেছিলাম। কিন্তু আমাদেরকে লাঠিপেটা করে তাড়িয়ে দেয়া হলো।
নীলফামারীর একটি স্বতন্ত্র এবতেদিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজুল ইসলাম জানান, ভোরের দিকে হঠাৎ বাঁশির শব্দ ও চিৎকারে ঘুম ভেঙে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুলিশের লাঠির আঘাত লাগে কপাল ও পায়ে।
তিনি বলেন, ২২ বছরের চাকরিজীবনে বিনাবেতনে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে পড়াশোনা করিয়েছি। এই তার প্রতিদান। বাড়িতে গিয়ে পুলিশের এই অত্যাচারের কথা বলতেও পারব না। এ বড় লজ্জা।
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী শামীম আহসান জানান, তারা গত ৫৮ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। তাদের কোনো সহিংস কর্মসূচি ছিল না। ভোরবেলার মারধরে বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতা মারাত্মক চোট পেয়েছেন।
প্যানেল প্রত্যাশী আন্দোলনের সমন্বয়ক আবু হাসান বলেন, ভোররাতে আমাদের প্রেসক্লাবের সামনে অতর্কিত হামলা করে পুলিশ। দুপাশ থেকে তারা পানি মেরে লাঠিপেটা করতে থাকে। কোন কথা না বলেই তারা আঘাত করে। এরপর আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ি। আমাদের প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা এর প্রতিবাদে আজ বিকালে সংবাদ সম্মেলনের পরিকল্পনা করছি।
আইএনবি/বিভূঁইয়া