নতুন ঠিকানায় বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আইএনবি ডেস্ক:  নতুন ঠিকানা প্রথম বারের মতো ঢাকার অদূরে পূর্বাচলে শুরু হয়েছে মাসব্যাপী ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

শনিবার (০১ জানুয়ারি) বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে গণভবন থেকে  ভিডিও কনফারেন্সে মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এবারে মেলা দেখতে শেরে বাংলা নগরের পুরোনো ঠিকানা থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে বাণিজ্য মেলার নতুন ও স্থায়ী ঠিকানা রাজউকের নতুন শহর পূর্বাচলে ২০ একর জমির ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে যেতে হবে। রূপগঞ্জ ও কালিগঞ্জ উপজেলায় গড়ে উঠছে পূর্বাচল উপশহর। পূর্বাচলের কাঞ্চন ব্রিজের কাছে ৪ নম্বর সেক্টরে নির্মাণ করা হয়েছে ঢাকা বাণিজ্যমেলার স্থায়ী এ প্রদর্শনী কেন্দ্র।

প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।  ছুটির দিনে দর্শনার্থীদের জন্য রাত ১০টা পর্যন্ত মেলার দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। আগের মতো এবারও মেলায় প্রবেশের টিকেটের দাম শিশুদের জন্য ২০ টাকা আর বড়দের জন্য ৪০ টাকা। এছাড়া এবারই প্রথম দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য থাকছে শাটল সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মাসজুড়ে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ১৫টি করে মোট ৩০টি বাস চলাচল করবে।

মেলায় অংশ নিয়েছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।  বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ভারত, চীন, তুরস্ক, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ আরও কয়েকটি দেশের কোম্পানি।

এবার বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মাথায় রেখে সাজানো হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বাণিজ্যমেলার গেটের থিমে প্রাধান্য পেয়েছে ১০ মেগা প্রকল্প।

মিলনায়তনের ভেতরে ও সামনের প্রচুর ফাঁকা জায়গা থাকায় দর্শনার্থীরা স্বাচ্ছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এবারও প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন, জেনারেল স্টল, ফুডকোড, মিনি স্টল, প্রিমিয়ার স্টলসহ ৩২টি ক্যাটাগরির স্টল-প্যাভিলিয়ন রয়েছে। মিলনায়তনের ভেতরে নিজস্ব একটা ক্যাফেটরিয়া রয়েছে। সেখানে একসঙ্গে ৫০০ লোক বসে খাবার খেতে পারবের। এছাড়া আরো ১২-১৩টি খাবার স্টল রয়েছে।

নতুন মেলাকেন্দ্রে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রয়েছে। দোতলা পার্কিং বিল্ডিংয়ের মোট পার্কিং স্পেস সাত হাজার ৯১২ বর্গমিটার, যেখানে ৫০০টি গাড়ি রাখা যাবে।

তবে মেলার শৃঙ্খলা রক্ষায় গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কেন্দ্রের পাশেই রাজউকের পানির প্ল্যান্ট ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সেখানে এক হাজার গাড়ি পার্কিং হবে। এছাড়া এক্সিবিশন বিল্ডিংয়ের সামনের খোলা জায়গায় আরও এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের সুযোগ রয়েছে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া