দরপত্র ছাড়াই অপারেটর নিয়োগে প্রভাবশালীরা মরিয়া

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বন্দরে দরপত্র ছাড়া বহির্নোঙরে পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য অপারেটর তালিকাভুক্তিতে প্রভাবশালী মহলের পদক্ষেপের প্রতিবাদ করা হয়েছে।

বার্থ হ্যান্ডলিংয়ের জন্য ৭০ থেকে ৮০টি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে বলে জানা যায়। কিন্তু প্রভাবশালী মহলগুলো ১০ থেকে ১২টি প্রতিষ্ঠানের নাম দরপত্র ছাড়া তালিকাভুক্তির জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বলে বাংলাদেশ শিপ হ্যান্ডলিং অ্যান্ড বার্থ অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এভাবে অনৈতিক উপায়ে বার্থ অপারেটর তালিকাভুক্ত করা হলে চট্টগ্রাম বন্দরে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে সংগঠনের চেয়ারম্যান এ কে এম শামসুজ্জামান রাসেল এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ কুতুবদিয়া বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে আসা দেশি বিদেশি জাহাজের পণ্য হ্যান্ডলিংয়ের জন্য রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেনার) ২০০১ এর প্রবিধানমালা অনুসরণ না করে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ও দরপত্র ব্যতীত নতুন শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্ত করতে একটি বোর্ড সভা আহ্বান করতে যাচ্ছে। যেখানে চট্টগ্রাম বন্দরের কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ও দক্ষ হওয়া সত্ত্বেও অনেক স্টিভিডোরিং প্রতিষ্ঠান শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে ব্যর্থ হয়েছে। সংশোধিত এসআরও নং-২৬৬-এআইএন/২০০৭, তারিখ ২৭/১১/২০০৭ মোতাবেক রেগুলেশনস ফর ওয়ার্কিং অব চিটাগং পোর্ট (কার্গো অ্যান্ড কন্টেনার) ২০০১-এর প্রবিধানমালা অনুযায়ী স্টিভিডোরিং পদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়েছে। সেখানে কুতুবদিয়া, বহির্নোঙর ও অন্যান্য বিশেষায়িত জেটিতে কাজের জন্য দরপত্র ব্যতীত শিপ হ্যান্ডলিং অপারেটর তালিকাভুক্তি ও নিয়োগ করা অত্যন্ত অযৌক্তিক ও বেআইনি।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া