ঢাকা-১৭ উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এই আসনের  উপনির্বাচনকে অতি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশন।

ইসির তথ্যানুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নং ১৫, ১৮, ১৯, ২০ এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে ঢাকা-১৭ আসন গঠিত। এ উপনির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র পাহারায় ২১ জনের পুলিশ ও আনসারের সমন্বয়ে ফোর্স নিয়োজিত রয়েছে। তারা দায়িত্ব পালন করবে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত। তবে অঙ্গীভূত আনসার পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ান আনসারের ১৫টি, র‌্যাবের ৬টি টিম ও ১০ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য নিয়োগ করা হয়েছে ২৫ জন নির্বাহী ও ৫ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে ৩ লাখ ২৫ হাজার ২০৫ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৭১ হাজার ৬২৫ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৮০ জন।

রাত পোহালেই ঢাকা-১৭ আসনের ভোট

১২৪টি কেন্দ্রের ৬০৫টি কক্ষে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে। এই উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে সরাসরি মনিটরিং করবে ইসি।

ইসি আরও জানায়, ঢাকা-১৭ উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে এ সংসদীয় আসনে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পাশাপাশি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড এবং ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ৭২ ঘণ্টার জন্য মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কমিশন। এসব এলাকায় শনিবার (১৫ জুলাই) মধ্যরাত ১২টা থেকে আগামী মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। এর বাইরেও ১৬ জুলাই মধ্যরাত ১২টা থেকে ১৭ জুলাই মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, কার ও ইজিবাইক। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি সাপেক্ষে কোনো কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারবে।

রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি/বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে। তাছাড়া নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি/বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং জরুরি কাজ যেমন- এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উল্লিখিত যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় মহাসড়ক বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এরূপ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।

এনএ/জেডএইচ