আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে গড়ে ওঠা আন্দোলন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সকল প্রটোকল ভেঙে অনেকটা ফ্যাসিস্ট স্টাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প দমাতে চাইছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্যে একজন ফ্যাসিস্ট নেতার সব উপাদানই বিদ্যমান।
সোমবার সব রাজ্যের গভর্নরদের সঙ্গে বসেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি বলপ্রয়োগ না করায় গভর্নরদের দূর্বল বলে তিরস্কার করেছেন। এতে নিজেদের নিকটজনদের কাছে বিরক্তি লুকাননি গভর্নররা।
মার্কিন সংবিধান অনুযাযী কোনও প্রেসিডেন্ট গভর্নরদের এভাবে বলপ্রয়োগের জন্য চাপ দিতে পারছেন না। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে আতঙ্কিত হয়ে বোধবুদ্ধি হরিয়ে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিনই দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে রাস্তা খালি করিয়ে একটি চার্চে যান ট্রাম্প। সেখানে গিয়ে একটি বাইবেল হাতে ছবি তুলেন। একেও নিজের পক্ষে জনগনকে টানতে ধর্ম ব্যভহারের ফ্যাসিস্ট নজির বলছেন বিশ্লেষকরা।
পেন্টাগন বিব্রত হলেও ট্রাম্প বিক্ষোভ দমাতে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। কমান্ডার ইন চিফ হিসেবে এই অধিকার মার্কিন প্রেসিডেন্টরা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু নিজ দেশের বিক্ষোভ দমাতে এ ধরণের নির্দেশের নজির দেশটিতে একেবারেই ছিলো না।
এমনকি বিক্ষোভের সময় প্রকাশ্যে না এসে বাঙ্কারে বসে থাকার সমালোচনাও হচ্ছে। তিনি একা নয়, এসময় সিচুয়েশন রুমের নিরাপদ বেজমেন্টে আশ্রয় নিয়েছে তার পরিবারও।
আইএনবি/বি.ভূঁইয়া