জরায়ুর অপারেশনের পরির্বতে পায়ুপথ কেটে ফেললো ডাক্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জে শনিবার দুপুরের শহরের মেডিপ্লাস জেনারেল হাসপাতালের সার্জন ডা. কামরুন নাহার জরায়ুর অপারেশন করতে গিয়ে রোগীর মলদ্বার কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী রোগীর ডালিয়া বেগম (৪০) বন্দর লেজার্স এলাকার মঞ্জুরুল ইসলামের স্ত্রী।

রোগীর মা নূরজাত বেগম বলেন, জরায়ুর সমস্যা নিয়ে ডা. কামরুন নাহারের কাছে আসি। বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তিনি বলেন যে রোগীর জরায়ুতে সমস্যা আছে অপারেশন করাতে হবে। ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে অপারেশন করতে রাজি হন তিনি। সকালে হাসপাতালে আসলে দেড়টার দিকে অপারেশন শুরু হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা চলে গেলেও অপারেশন শেষ হয় না।
বার বার প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিভিন্ন ওষুধ আনতে বলেন। কয়েকবার ওষুধ আনার পর ফার্মেসির লোকেরা বলে যে আপনারাতো জরায়ুর অপারেশন করতে এসেছেন এই ওষুধতো পায়ুপথের জন্য।

তখন আমাদের সন্দেহ হলে আমরা চিৎকার শুরু করি। এরপর তারা ভুল চিকিৎসার কথা স্বীকার করেন। পরে অপর এক ডাক্তারকে এনে অপারেশন করান।

ডাক্তার এস.এম ইফতেখার উদ্দীন বলেন, আমি অন্য একটি রোগী দেখার জন্য এখানে এসেছিলাম। এখানে এসে এই ঘটনা শুনতে পারি।

পরে আমাকে অপারেশনের কথা বললে আমি করে দেই। হাসপাতালটির ম্যানেজার বলেন, এই রোগী ডাক্তার কামরুন নাহারের। তিনিই এখানে পাঠিয়েছেন। অপারেশনের সময় ডা. কামরুন নাহার আমাকে বলেন যে একটা ক্রিটিক্যাল সমস্যা হয়েছে একজন সার্জারী ডাক্তার ডাকতে হবে।

তিনি অপারেশন করে রোগীর স্বজনদের বলে গেছেন অপারেশন করার সময় পায়খানার রাস্তা কেটে ফেলেছে। এখন ঠিক হতে একমাস সময় লাগবে। তবে এই ঘটনার পর ডা. কামরু নাহার রোগীর কোনো খোঁজ নিতে আসেন নাই।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই রিপন আলি খান বলেন, ভুল চিকিৎসার খবর পেয়ে এখানে এসেছি খোঁজ-খবর নিচ্ছি। তবে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া