করোনার পর এবার আলোচনায় চীনের বুনিয়া ভাইরাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সারা বিশ্ব করোনার দাপটে অস্থির। এর মধ্যেই নতুন আতঙ্ক। আবারও সেই চীন। সেখানে এরই মধ্যে দশ বছর পুরোনো এক ভাইরাসের হানায় প্রাণ হারিয়েছেন সাতজন। আক্রান্ত আরো ৬০ জন। এখনো পর্যন্ত চীনের আনহুই ও পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত ঝেজিয়াং প্রদেশে ওই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেলেও চিন্তায় পড়েছে বেজিং।

গত বুধবার চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই ভাইরাসের ফলে এখনো পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর কথা প্রকাশ করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই আনহুই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গেছে। এখনো পর্যন্ত অন্য কোনো প্রদেশে এই ভাইরাসের কথা শোনা না গেলেও করোনার মতো এটিও সংক্রমিত রোগ বলে সতর্ক করা হয়েছে।

তাইওয়ান নিউজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনে ২০১০ সালের দিকে প্রথম এই ভাইরাসটি ধরা পড়ে এবং ভাইরাসটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে। এ কারণেই এই ভাইরাসটি নিয়েও আতঙ্ক কাজ করছে। এসএফটিএস নামে ওই ভাইরাসটিকে নভেল বুনিয়া ভাইরাসও বলছে অনেকে।

বুনিয়া ভাইরাস বিশেষজ্ঞ ও ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব মেডিসিনের অনুমোদিত হাসপাতালের সংক্রামক রোগ বিভাগের পরিচালক শেং জিফাং জানিয়েছেন, আগের আক্রান্তের ভিত্তিতে জানা গেছে ভাইরাসটি সংক্রামিত প্রাণী বা মানুষের থেকে অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। রক্তের মাধ্যমে, শ্বাস নালী ও ক্ষত দিয়েও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। চীনের স্থানীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এই বিষয়টি এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করে।

চীনের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এই ভাইরাসের ফলে এখনও পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যু কথা প্রকাশ করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই আনহুই ও ঝেজিয়াং প্রদেশের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অন্য কোন প্রদেশে এই ভাইরাসের কথা শোনা না গেলেও করোনার মতো এটিও সংক্রমিত (infectious) রোগ বলে সতর্ক করা হয়েছে।

এসএফটিএস নামে ওই ভাইরাসটি এক ধরনের রক্তচোষা পোকার কামড়ের ফলে মানুষের শরীরে প্রবেশ করেছে। এই বছরের প্রথমে জিয়াংসু প্রদেশের রাজধানী নানজিং শহরের এক নারীর শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ পান চিকিৎসকরা। প্রথমে করোনার মতোই জ্বর ও কাশির উপসর্গ দেখা গিয়েছিল আক্রান্ত ওই নারীর। পরে রক্তকণিকার সংখ্যাও হু হু করে কমতে দেখা যায়। প্রায় একমাস চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হন ওই নারী। এরপর থেকে গত ৬ মাসে জিয়াংসু প্রদেশে ৩৭ জন ও আনহুই প্রদেশে ২৩ জন এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন, ডেকান ক্রনিকাল ও তাইওয়ান নিউজ।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া