ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:রবিবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের উদ্বোধনী পর্বে ফরাসি ভোটাররা ভোট দিতে যাচ্ছে। এ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ লড়বেন ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী মারি লো পেনের সঙ্গে। চটকদার নির্বাচনী প্রচারণায় নিজের অবস্থান শক্ত করেছেন অভিবাসীবিরোধী এ বিতর্কিত নেত্রী।

ফ্রান্সের ৪ কোটি ৯০ লাখ যোগ্য ভোটার রবিবার ঠিক করবেন ১২ প্রার্থীর মধ্যে কোন দুইজন সবার বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় পর্বে লড়বেন। প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁ নির্বাচনী দৌড়ে সামান্যই সময় ব্যয় করেছেন। তিনি ব্যস্ত ছিলেন ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে ইউরোপের করণীয় ঠিক করা ও মধ্যস্থতার চেষ্টায়।

এই নির্বাচনে অন্য যেকোনো বিষয়ের চেয়ে একটি বিষয় বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। তা হলো জ্বালানি বিল এবং নিত্যপণ্যের দামসহ জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচ।

ইমানুয়েল ম্যাখোঁ ২০১৭ সালে একটি নতুন দল নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর রাজনৈতিক অঙ্গনের পুরনো সমর্থনের বৃত্ত ভেঙে দিয়েছিলেন। দেশের দুটি বড় দল এখনো তাদের ক্ষতকে সারিয়ে তুলতে পারেনি।

সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী আন হিদালগো ভোটারদের মন পেতে বেগ পাচ্ছেন। ডানপন্থীদের মধ্যে ভালেরি পেক্রেস রিপাবলিকানদের চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এখন ম্যাখোঁর জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জটি আসছে অতিডান লো পেন আর অতিবাম জ্যঁ-লুক মেলেঁশঁর কাছ থেকে। কোনো কোনো জনমত জরিপে ইঙ্গিত মিলছে প্রেসিডেন্ট হেরে যেতে পারেন।

‘এখনো জানি না কাকে ভোট দেব’
প্যারিস, লিওঁ এবং মার্সেইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে স্থানীয় সময় সমকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। মাত্র কয়েক দিন আগে একটি ইপসোস জনমত জরিপে দেখা যায় ৩৭ শতাংশ ভোটার কাকে ভোট দেবেন সে বিষয়ে তখনো সিদ্ধান্তহীন।

উত্তর-পশ্চিম প্যারিসের একটি ক্যাফের মালিক ওরদিয়া বলেন, প্রচার দুই মাস ধরে চলছে। তবে খুব বেশি বিতর্ক হয়নি। আমি এখনো জানি না কাকে ভোট দেব।

স্রেফ বাম বা ডানদিক দেখে ভোট দেওয়ার পুরোনো চল ফ্রান্সে আর তেমন নেই। প্যারিসের একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, তিনি ডান লো পেন বা বাম মেলেঁশঁ যে কাউকে ভোট দিতে পারেন। এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পারপিনঁর অধিবাসী সাবেক সমাজতন্ত্রী ভোটার ফিলিপ ব্রিদো বিবিসিকে বলেন, তিনি ডানদিকে চলে গেছেন। কারণ “নিরাপত্তা ও অভিবাসন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলেও বামপন্থীরা এসব নিয়ে আলোচনা করে না। ”

অনেক দেশের মতো ফ্রান্সেও অতি ডানপন্থীদের ভোট দেওয়া একসময় কলঙ্কজনক মনে করা হতো। অনেক ভোটারের কাছে তা আর খুব খারাপ কিছু নয়। ২০১৭ সালে ম্যাখোঁর কাছে বাজেভাবে হারার পরে উগ্রডান লো পেন তার ন্যাশনাল ফ্রন্টের নাম বদলে ন্যাশনাল র‍্যালি করেছেন। তার নীতি অবশ্য খুব কমই পরিবর্তিত হয়েছে। তবে আরেক অতি ডানপন্থী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এরিক জেমুরের তুলনায় মধ্যপন্থী হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠেছেন লো পেন।
সূত্র: বিবিসি

আইএনবি/বিভূঁইয়া