পিছিয়ে পড়াদের কল্যানে কাজ করছে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম

মোশাররফ হোসেন

যুবক ধরবে কর্মে হাল, দেশ উন্নয়ন সর্বকাল, যুবকদের অঙ্গীকার, বেকারত্বের সমাধান” এই ¯ স্লোগান কে সামনে রেখে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম এগিয়ে চলছে দূর্বার গতিতে, বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম বা বাংলাদেশ ইয়ূথ ডেভোলপমেন্ট ফোরাম নামে অধিক পরিচিত। এই যুব সংগঠন যুবকদের নিয়ে ৪ বছর ধরে বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এই সংগঠনটি হলো অলাভজনক, অরাজনৈতিক, সেবামূলক সংগঠন। সংগঠনের লক্ষ্যে উদ্দেশ্য হলো বেকার যুকদের কর্মসংস্থান ও উদ্যেক্তা সৃষ্টি করা । ইতি মধ্যে যুব সংগঠনটি ৪ বছর যাবত কাজের গতিতে ব্যাপক পরিচিত হয়েছে। এই সংগঠন বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক বা বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম করে যাচ্ছে তার মধ্যে অন্যতম হলো হতদরিদ্র খাবারও পথশিশুদের খাবার বিতরণ করে থাকে, সর্তকতামূলক ভাবে করোনা কালিন মাক্স ও স্যানিটাইজার প্রদান করা হয়েছে ,শীতার্তর মাঝে কম্বল বিতরণ করেন এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য হুইল চেয়ার প্রদান করেন, নানান শ্রেণীর পেশার মানুষের জন্য রক্তদান প্রদান করেন। জাতীর বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সমম্মনা স্মারক প্রদান থাকে এই যুব সংগঠন। এবং বিভিন্ন গুণীজনদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন এবং যুবকদের আনন্দের বা বিনোদন দেওয়ার ক্ষেত্রে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পরিচিত সভা এবং যুবকদের নিয়ে সামাজিক কাজে গতিশীল করার লক্ষ্যে বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন করেন । সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ আসাদুজ্জামান আজম বলেন বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম বেকারত্ব ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির করার লক্ষ্যে আমরা সামাজিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং যুবকদের আত্মবিশ্বাস ও সাহসী হতে, যুবকদের মনে রাখতে সফলতা সহজ ভাবে আসেনা। তাই বেকার যুবকদের স্বার্থে আমরা সরকারি প্রতিষ্ঠানকে আরো গতিশীল করার আহবান করছি। সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ মোঃ মাসুদ আহমেদ বলেন বেকারত্ব যুবক পড়াশোনা শেষ করে চাকুরি না পাওয়া বা জাতির জীবনে যেমন অভিশাপ, তেমনি বেকারের জন্য তীব্র যন্ত্রণার একটি অধ্যায়, পরিবারে দায়িত্ব নেয়ার চাপ। কারোও কারোও প্রিয় মানুষকে হারানোর ভয়। সব কিছু মিলেয়ে জিবনের একটি কঠিন অবস্থা। তার উপরে সমাজের “চাকরি কবে হবে???” এই কঠিন প্রশ্নের না জানা উত্তর, বর্তমানে বেকাররা সমাজের মুখামুখি হতে পারে না বা চায় না, নিজেকে সমাজ থেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। মুখামুখি হলে তো কত কথা শুনিয়ে দেয়। বর্তমানের যারা সফল তারাও তো একদিন বেকার ছিল। তাই আমাদের সমাজের উচিত বেকারদের নিয়ে মজা না করে (তোমাকে দিয়ে হবে) বেকারদের উৎসাহিত করা। সম্ভব হলে ভালো মন্দ খোজ খবর রাখা, বেকারত্ব দূর করার করার উপায় বের করা। দ্রুত বেকারত্ব নামক অভিশাপ থেকে মুক্তির কামনা করা। সংগঠনের কার্যকরি সভাপতি মোঃ সাব্বির তালুকদার বলেন বেকারত্ব এই সমাজের ক্যান্সার। এতে যেমন সমাজব্যবস্থা ধ্বংস হচ্ছে। তেমনি পারিবারিক বন্ধনও ফিকে হয়ে যাচ্ছে। একজন বেকারই জানে এটা তার জন্য কতবড় অভিশাপ। তাই তাদের জন্য কিছু করার কথা ভাবছে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম। ছেলে, মেয়ে যে কেউ একটু বুদ্ধি খাটালে বেকারত্ব থেকে বাঁচতে পারে। চাকরির বাজারের তপ্ত আগুনে ঝাঁপ না দিয়ে নিজেই যদি কিছু একটা করা যায়, আর সেটা যদি নিজ এলাকায়, ইচ্ছেমতো সময়ে করা যায় তাহলে তো আর কথাই নেই৷ এমনকি অন্যান্য কাজের পাশাপাশিও যদি বাড়তি কিছু আয় করা যায় তাতেই বা মন্দ কী? স্বল্প পুঁজিতে কিংবা পুঁজি ছাড়াও অনেক কিছু করা যায়। প্রয়োজন একটু টেকনিক। একটু বুদ্ধি খাটানো। সেইসাথে যথাযথ দিকনির্দেশনা সেই সাথে সংগঠনের আগামী কর্মসূচি বা প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে নিজস্ব অর্থায়নে দারিদ্র্য বিমোচন ও ঋণ কর্মসূচি যা অন্যতম পরিবারভিত্তিক কর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ দ্বিতীয়ত হলো যুব প্রশিক্ষণ ও আত্মকর্মসংস্থান কর্মসূচিঃ আর তৃতীয়ত্ব হলো বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্প। বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরামে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম কর্মসূচির মধ্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, সেলাই মেশিন প্রশিক্ষণ, মৎস বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সেই সাথে বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরামে যারা প্রশিক্ষণার্থী ও বেকার যুবকদের তাদের কর্মসংস্থান তৈরি করার জন্য ঋণ প্রদান করা হবে। বেকার যুবসমাজকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন ফোরাম প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকবে। জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে প্রশিক্ষণ আবাসিক ও অনাবাসিক ভিত্তিতে প্রদান করা হবে। ভবিষ্যতে বিভিন্ন দেশে সামাজিক ভাবে সেবামূলক কাজে নিয়োজিত থাকবে এই যুব সংগঠন। তাই সামাজিক কাজে এগিয়ে আসুন সবাই। বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম সবার জ্ঞান, পরামর্শ, সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরামের হিসাব নম্বর ০৩৪৯০২০০০৪৬০৬ রুপালী ব্যাংক লিঃ, যুবকদের জয় হোক। বাংলাদেশ যুব উন্নয়ন ফোরাম সকল বেকারত্ব যুবকদের সাফল্য কামনা করছি।