পশুহাটে মানুষের ভিড়

নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে গত ৮ জুলাই (বুধবার) সকাল থেকে হাট সবচেয়ে বড় পশুর হাট আবাদপুকুর বসছে। নওগাঁ জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে গত শুক্রবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে জেলার পশুহাট বসানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক চলমান কঠোর লকডাউনের শেষ দিনে হাট বসেছে।

হাট কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য পশুহাটে মাইকিং, প্রবেশ মুখে মাস্ক বিতরণ ও মোড়ে মোড়ে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বাস্তব চিত্র উল্টো। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। অনেকে পশু বিক্রি বা কিনতে না এসে শুধু হাট দেখতে এসেছেন।

জানা গেছে, উপজেলার পশুর বড় হাট আবাদপুকুর। সপ্তাহে দুই দিন হাটবার থাকলেও বিশেষ করে বুধবারে জমজমাট পশুর হাট বসে। এই হাটের অবস্থান নওগাঁ, বগুড়া ও নাটোর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় কয়েক জেলার দূর দূরান্ত থেকে হাজারও ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম ঘটে।

হাটে আসা উপজেলার কালিগ্রামের ওহেদুল ইসলাম জানান, গত বছরের চেয়ে এবার গরুর দাম তুলনামূলক বেশি না হলে আমাদের লোকসান হবে। গো-খাদ্যের মূল্য বেশি হওয়ায় গরু লালন-পালন করতে তাদের গত বছরের তুলনায় খরচ অনেক বেশি হয়েছে।

গরু কিনতে আসা দামুয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেন জানান, আমি একটি চার দাঁত বয়সের ষাড় কিনেছি। দাম এক লাখ টাকা। তাতে আমার মনে হয় বাজার চড়া।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই হাট কর্তৃপক্ষকে পশুর বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারপরও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। কোথাও কোন ধরণের বাত্যয় ঘটলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া