নির্বাচনে পেশিশক্তির ব্যবহার কঠোর হাতে দমন করা হবে: সিইসি

আইএনবি ডেস্ক: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের অনিয়ম সহ্য করা হবে না ।

তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে অনিয়ম, মাস্তানি ও পেশিশক্তির ব্যবহার কঠোর হাতে দমন করা হবে। কেউ যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করেন, তিনি যদি চিহ্নিত হন তার প্রতি এবং তিনি যার জন্য করেছেন, নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

গতকাল শনিবার রাতে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন। বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসানের সভাপতিত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে বরিশালের জেলা প্রশাসক এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাজীপুরে ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কারণ সেখানে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল। গাজীপুরের পরাজিত প্রার্থীও নির্বাচন নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি, এমনকি সাংবাদিকরাও উল্লেখযোগ্য কোনো অনিয়ম দেখাতে পারেননি।

ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, গাজীপুরে ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ। সেখানে গার্মেন্টস শ্রমিকরাও ভোটার ছিলেন। তারা কেউ সায়েন্স, ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি পড়েননি। তারপরও ইভিএমে ভোট দিয়েছেন। এই পদ্ধতিতে ৬ শতাধিক নির্বাচন হয়েছে, কেউ কোনো অভিযোগ করতে পারেননি। এখন নির্বাচনের মাত্র কয়েকদিন বাকি। এখন এটি পরিবর্তন করা সম্ভব না।

তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের আয়তন গাজীপুরের তিনভাগের একভাগ। এখানে ১২৬ কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা রাখা হবে। শুধু বরিশাল নয়, অন্য সব সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে।

সিইসি বলেন, ‘আচরণবিধি আপনাদের প্রতিপালন করতে হবে। আমরা সবকিছু দেখব না, দেখতে পারবও না। তবে গণমাধ্যমে উঠে এলে বিষয়টি অবশ্যই ডিসি, এসপির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে সিদ্ধান্ত নেব।’

ভোটের মাঠে টাকা বিতরণের অভিযোগের ব্যাপারে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাত ২টা-৩টার সময় টাকা বিতরণকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। কালো টাকা চোখে দেখা যায় না। আমরা সব সময় এটা বের করতে পারব না। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকে সেখানে জোর করে কিছু হয় না।’

প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেই হবে না, অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিতে হবে।

সভায় বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থীসহ ১৫৮ জন কাউন্সিলর প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রথমে কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী এবং মেয়র প্রার্থীদের নানা প্রশ্ন ও অভিযোগ শোনেন।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন- নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে মতবিনিময় করেন- বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া