দুই অর্থবছর পর আমদানি ব্যয় কমল

আইএনবি ডেস্ক: আমদানিতে সুফল মিলেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া পদক্ষেপের । গত অর্থবছরে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ব্যয় কমেছে প্রায় ১৫ শতাংশ। একই সময়ে নতুন এলসি খোলা কমেছে প্রায় সাড়ে ২৬ শতাংশ। এর আগে টানা দুই অর্থবছর আমদানি ব্যয় বেড়েছিল। এর মধ্যে ২০২১-২২ অর্থবছরে এই ব্যয় বৃদ্ধির হার ছিল অস্বাভাবিক, প্রায় ৩৬ শতাংশ। আমদানি ব্যয় কমার সঙ্গে গত অর্থবছরে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও প্রবৃদ্ধির হার ছিল ইতিবাচক ধারায়। এতে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ডলার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।

চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের পণ্যের মূল্য ও জাহাজ ভাড়া বেড়ে যায়। এর সঙ্গে যোগ হয় ডলারের উচ্চমূল্য। ফলে ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। একই কারণে রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ে। অন্যদিকে করোনাপরবর্তী সবকিছু খুলে যাওয়ায় হুন্ডি তৎপরতা ব্যাপকভাবে বেড়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এসব কারণে বৈদেশিক মুদ্রার আয় ও ব্যয়ে পার্থক্য বেড়ে দেশে ডলারের সংকট তৈরি হয়। জানা গেছে, এতদিন আগের খোলা বকেয়া এলসি নিষ্পত্তির জন্য চাপ বেশি থাকলেও এখন সেটিও আগের চেয়ে কমে এসেছে। এর ফলে বাজারে ডলার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গতকাল বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য স্থিতি দাঁড়ায় ৩৬৬ কোটি ডলার (৩ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন), যা এক বছর আগেও ছিল ২০০ কোটি ডলারেরও কম। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার নিট পজিশনও ঘাটতি থেকে উদ্বৃত্তে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, আমদানি পণ্যে নিয়মিত তদারকির সুফল আমরা পেতে শুরু করেছি। গত অর্থবছরে আমাদের আমদানি ব্যয় অনেক কমেছে। আবার রপ্তানি আয়ও বেড়েছে। এর মানে পরিমাণের দিক থেকে আমাদের আমদানি কিন্তু কমেনি। ফলে রপÍানি আয়েও কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তিনি বলেন, রপ্তানি বৃদ্ধি এবং আমদানি কমার কারণে বাজারেও ডলার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। আগের বছর বাজারে যেখানে তারল্যের পরিমাণ ২ বিলিয়নের কাছাকাছি ছিল, সেটা বেড়ে এখন ৩.৭ বিলিয়নের কাছাকাছিতে পৌঁছেছে। নগদ ক্যাশ হোল্ডিং যেখানে ৯ মিলিয়নে নেমে গিয়েছিল, সেটা ৩৭ মিলিয়নের ওপরে উঠেছে। বৈদেশিক মুদ্রার নিট পজিশন (এনওপি) নেগেটিভে নামলেও এখন সেটি বেড়ে ২৫০ মিলিয়ন হয়েছে।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া