দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: চীন তার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাইনান এবং ভিয়েতনামের মধ্যবর্তী অঞ্চলের দক্ষিণ চীন সাগরে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সামরিক মহড়া চালাচ্ছে। এই মহড়ার কারণে সব ধরনের জাহাজকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলতে নির্দেশ প্রদান করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

চীন অনেকদিন যাবৎ এই বিতর্কিত জলপথের একটি বড় অংশ দাবি করে আসছে। এই জলপথটি বিভিন্ন দেশের জাহাজগুলোর জন্য একটি অন্যতম চলাচলের পথ হিসেবে বিবেচিত। দেশটি এই জলসীমায় বেশ কিছু কৃত্রিম দ্বীপ এবং বিমানঘাঁটি তৈরি করেছে, যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উদ্বেগজনক।

এদিকে, গত শুক্রবার (৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে হাইনান মেরিটাইম সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, সামরিক এই মহড়া ৪ মার্চ থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। মহড়ার এই অঞ্চলটি মূলত হাইনানের সানিয়া এবং ভিয়েতনামী শহর হিউয়ের মধ্যে একটি রেখা বরাবর অবস্থিত। প্রসঙ্গত, সানিয়া চীনের প্রধান নৌ ঘাঁটির মাঝে একটি।

মহড়া চলাকালীন ওই এলাকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে, এমনটাই জানানো হয়েছে হাইনান মেরিটাইম সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওয়েবসাইটে।

এদিকে, ভিয়েতনাম চীনের এই ধরনের মহড়াকে তার ‘সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ উল্লেখ করে চীনের সমালোচনাও করেছে। কারণ মহড়ার ওই এলাকার কিছু অংশ ভিয়েতনামের ২০০ নটিক্যাল মাইল অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে।

যদিও চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে ওই মন্তব্যের কোন জবাব দেয়নি এবং ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এ সম্পর্কে আর কিছু জানায়নি।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ভিয়েতনাম এবং চীনের মধ্যে উত্তেজনা কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায় যখন একটি চীনা তেল রিগ ভিয়েতনামের সামুদ্রিক এলাকায় খনন শুরু করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উভয় দেশের জলসীমায় ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল এবং ভিয়েতনামে চীন বিরোধী দাঙ্গার সূত্রপাতও হয়েছিল।

এসব সত্ত্বেও চীন নিয়মিতভাবেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া চালায়। যদিও এই জলসীমার ওপর ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, তাইওয়ান এবং ব্রুনাই সকলেরই দাবি রয়েছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া