কুয়েট শিক্ষকের মরদেহ উত্তোলন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রয়াত শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মরদেহ বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বাঁশগ্রাম কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।

 

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহম্মেদ সাদাত এর উপস্থিতিতে কবর থেকে মরদেহটি উত্তোলন করেন খুলনার খানজাহান আলী থানার পুলিশ।

খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীর কুমার জানান, আইনি প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ময়নাতদন্তের জন্য কুয়েট শিক্ষক ড. সেলিম হোসেনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়।

জানা যায়, গত ৩০ নভেম্বর বিকেল ৩টায় মারা যান কুয়েট শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. সেলিম হোসেন (৩৮)। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য-ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) পদে নিজের লোককে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ড. সেলিমকে চাপ দেন কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান। ঘটনার দিন দাপ্তরিক কক্ষে সাদমান নাহিয়ান ও তার অনুগতদের অশালীন আচরণ ও মানসিক নির্যাতনেরও শিকার হন ড. সেলিম।

এদিকে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের আগে পুলিশ নিহতের বাবা শুকুর আলীর কাছে মরদেহটি উত্তোলনের জন্য অনুমতি চাইলে তিনি  বলেন, ‘আমি বিচার চাই। আগে মামলা দায়ের করার ব্যবস্থা করেন তারপর লাশ তোলেন, আমার কোনো আপত্তি নেই।

আইএনবি/বিভূঁইয়া