আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় এখন আর হাহাকার নেই: প্রধানমন্ত্রী

সম্প্রতি আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসা তালেবানকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সব পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের একটি অংশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়।

উগ্র তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের কোনো সমস্যা হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পেলেই ভয়, না পেলে কিছু নয়। এক সময় যখন তালেবানের উত্থান হলো তখন অনেকে আফগানিস্তান থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসে এজন্য দেশে জঙ্গিবাদ তৈরি হয়। এর জন্য মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এটা যে মানুষের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না, মানুষ যে কষ্ট পায়, এজন্য মানুষকে সচেতন হতে হবে। আমরা সতর্ক আছি এবং ব্যবস্থা নিচ্ছি যেন এ ঘটনার কোনো বাতাস যেন আমাদের এখানে না আসে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্র নীতি ধরে রেখেই আমাদের এখানে যেন না ঘটে এজন্য সচেতনতা বাড়াতে চেষ্টা করছি। জনগণই মূল শক্তি। জনগণ শান্তি চায়। আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় থাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া এসেছে। এখন আর হাহাকার নেই। ভবিষ্যতে আরও উন্নত জীবন তারা পাবে।’

কোনো কোনো সংস্থার জন্য রিফিউজি ব্যবসা’

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘রিফিউজি থাকলে কারও কারও জন্য কিছুটা লাভই হয়। তারা প্রত্যাবাসনের বিষয়টি খুব একটা দেখে না। অনেকের কাছ থেকেই অনেক প্রস্তাবনা পাই— এদের জন্য এটা করা হোক, ওটা করা হোক। আমরা বলি— যা কিছু করার, মিয়ানমারে করেন। সেখানে করে রোহিঙ্গাদের নিয়ে যান। এখানে তাদের (রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী) জন্য যা কিছু করার, আমরা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গারা যখন এলো প্রথম কয়েক মাস তো তাদের জন্য সবকিছু আমরাই করলাম। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো পরে যুক্ত হয়েছে। আমাদের কাছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো যখনই কোনো কিছু করার কথা বলে, আমরা বলি যা করার মিয়ানমারে করেন। সেখানে হাসপাতাল করেন, স্কুল করেন, ঘরে করে দেন। আমাদের এখানে যা করার আমরা করে দিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার ধারণা— কিছু কিছু শ্রেণির কাছে সবকিছুকেই ব্যবসা মনে হয়। তবে কেউ কেউ তো আন্তরিকও রয়েছে। তাদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পাই। কিন্তু কেউ কেউ শুধু শুনেই যান, সমস্যা এখানেই।’