১২ দিনের সন্তান রেখে গৃহবধূর আত্মহত্যা

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার দুপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন খাদিজা খাতুন (২৩) এক গৃহবধূ।

তিনি ওই গ্রামের আবু বক্করের মেয়ে। জানা যায়, সাত মাস আগে গর্ভাবস্থায় গৃহবধূকে বাবার বাড়িতে রেখে যান স্বামী। তিনি ১২ দিন আগে কন্যা সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খবর না নেয়ায় অভিমান করে আত্মহত্যা করেন খাদিজা।

সরেজমিন মৃতার স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রায় আড়াই বছর আগে পার্শ্ববতী আটঘরিয়ার উপজেলার সুজাপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের সঙ্গে বিয়ে হয় খাদিজার। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় তাদের দুজনের মধ্যে। এরমধ্যে খাদিজা গর্ভবতী হলে তাকে পার্শ্বডাঙ্গা গ্রামে বাবার বাড়িতে রেখে যান স্বামী সুলতান মাহমুদ। এরপর থেকে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ রাখা বন্ধ করে দেয় স্বামীসহ শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।

১২ দিন আগে খাদিজা খাতুন কন্যা সন্তান জন্ম দেন। সন্তান জন্মগ্রহণ করার খুশির খবরটি স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে জানানোর জন্য যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হন খাদিজা। এরপর মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে বাড়ির সবার অগোচরে সদ্যজাত সন্তানকে বিছানায় শুইয়ে রেখে ঘরের ডাবের সাথে গলায় শাড়ি পেঁচিয়ে ফাঁস নেন তিনি। পরে স্বজনরা টের পেয়ে পুলিশে খবর দিলে খাদিজার ঝুলন্ত মরদেহ করা হয়।

এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান সিনিয়র এএসপি (চাটমোহর সার্কেল) সজীব শাহরীন, থানার ওসি আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ সদস্যরা।

ঘটনার ব্যাপারে এএসপি সজীব শাহনীর বলেন, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর অভিমান করে ১২ দিনের বাচ্চা রেখে আত্মহত্যা করেছেন খাদিজা খাতুন নামে ওই গৃহবধূ। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। এ ঘটনায় থানার একটি ইউডি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া