রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার মাথায় সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে আজারবাইজান-আর্মেনিয়া। ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের জন্য সেনা অভিযান শুরু করেছিল বাকু। পরে মস্কোর শান্তিরক্ষা মিশনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নিয়েছে তারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগর্নো-কারাবাখের আজারবাইজানের বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে আর্মেনিয়ান বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে এবং বুধবার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়।

উভয় পক্ষ চুক্তির অধীনে বুধবার দুপুর ১টা থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এছাড়াও চুক্তিতে বলা হয়েছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী বিচ্ছিন্ন এবং নিরস্ত্র হবে। পাশাপাশি এই অঞ্চলের ভবিষ্যত এবং এখানে বসবাসকারী আর্মেনিয়ানদের নিয়ে আলোচনা শুরু হবে বৃহস্পতিবার।

আন্তর্জাতিকভাবে নাগোরনো-কারাবাখ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ আজারবাইজানের অংশ। তবে সেখানে বসবাস করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী জাতিগত আর্মেনিয়ানরা। আজারবাইজানের অভিযোগ প্রতিবেশী দেশ আর্মেনিয়ার সহযোগিতা নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে নিজেদের সংঘটিত করছিল সেখানকার বাসিন্দারা।

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান কয়েক দশক ধরে বিবাদে লিপ্ত রয়েছে। নাগোরনো-কারাবাখ আজারবাইজানের ভূখণ্ডের ভেতরে অবস্থিত হলেও ১৯৯৪ সালের এক যুদ্ধের পর থেকে আর্মেনিয়ার সমর্থনে জাতিগত আর্মেনীয় বাহিনী ওই অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে।

ইতোমধ্যে নাগোরনো-কারাবাখ ঘিরে দুই প্রতিবেশী আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া অন্তত দুবার যুদ্ধে জড়িয়েছে। ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর প্রথমবার যুদ্ধে জড়ায় দেশ দুটি।

সাবেক সোভিয়েত এ দুই রাষ্ট্র বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে ২০২০ সালে ফের প্রাণঘাতী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। দুই দেশের সেনাদের হামলা-পালটা হামলায় সেই যুদ্ধে উভয়পক্ষের সাড়ে ৬ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

 

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া