প্রতিবন্ধী ছাত্রীর উপবৃত্তির চেক জালিয়াতি

জামালপুর প্রতিনিধি:জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে গতকাল বৃহস্পতিবার একে এম কলেজ রোড সংলগ্ন দেওয়ানগঞ্জ প্রতিবন্ধী বিশেষ শিক্ষা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছাত্রীর উপবৃত্তির চেক জালিয়াতির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সমাজসেবা অফিস থেকে বিভিন্ন প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।

সমাজসেবা কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের স্বাক্ষরিত সোনালী ব্যাংকের চেকে ফাহমিদা জান্নাত তুবার নামে ৫ হাজার ৪০০ টাকার চেকে সই করা হয়। চেকের অপর পাশে প্রতিষ্ঠান প্রধান সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষর রয়েছে।

গতকাল বিকেলে সেই চেকের টাকা উত্তোলন করতে পাঠান সেই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. রজব আলীকে। প্রাথমিকভাবে চেকে ৫,৪০০ টাকা লেখা ছিল কিন্ত খুব সূক্ষ্মভাবে পাঁচের আগে বাংলায় এক লক্ষ এবং অংকে ৫-এর আগে ১০ বসিয়ে দেওয়া হয় । ৫ হাজার ৪০০ টাকার স্থলে এক লক্ষ ৫ হাজার ৪০০ টাকা হয়। এই চেক জমা দিলে সোনালী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সন্দেহ হয়। চেকটি নিয়ে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রাসেল মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ বিষয়ে চেক প্রদান কারী রজব আলীক কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন তার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম এভাবে লিখে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। এরপর সে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলামকে ব্যাংকে হাজির করা হলে তিনি বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে এভাবেই আমাকে চেক প্রদান করা হয়েছে ।

এরপর ব্যাংক থেকে সমাজসেবা অফিসের কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমি সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত। আমার পূর্বের কর্মকর্তা স্বর্ণা শাহা সেই চেকে স্বাক্ষর করেছিলেন- যে চেকে টাকা ছিল পাঁচ হাজার চারশত।

এই বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা এভাবেই সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে চেক পেয়েছিলাম। আমি চেকটি দিয়েছিলাম আমারই এক সহকারি শিক্ষক রজব আলীকে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার জন্য। এই বাইরে কিছুই জানিনা।

সোনালী ব্যাংক দেওয়ানগঞ্জ বাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. রাসেল মাহমুদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন চেক নিয়ে বড় ধরনের চুরি সংগঠিত হতে যাচ্ছিল। আমাদের দক্ষতা এবং নৈপুণ্যে কারণে আমরা এই চেক জালিয়াতি চক্রকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের সন্দেহ হয়েছিল যার কারনে অনুসন্ধান করে ক্লু বের করতে সক্ষম হয়েছি । সমাজসেবা অধিদপ্তর আর যারা এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত তারাই বাকিটুকু বলতে পারবেন। আমরা শুধু আসামী ধরিয়ে দিতে পেরেছি।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান সোনালী ব্যাংকের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আইএনবি/বি.ভূঁইয়া