নারী সাংবাদিকের লাশ ‘পাঁচ দিন ধরে’ ঝুলছিল

আইএনবি ডেস্ক: সাংবাদিক শারমিন শবনমের মরদেহ রাজধানীর হাতিরঝিলের বাসা থেকে উদ্ধারের ঘটনায় মামলা করেছে পরিবার। মঙ্গলবার রাতে শবনমের বড় বোন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। শবনমের স্বামী এশিয়ান টিভির সাবেক অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদক সাইদুল ইসলামকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক রয়েছেন।

হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেজবাহ উদ্দীন বলেন, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক শারমিন শবনমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঐ সময় বাসায় কাউকে পাওয়া যায়নি।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর শবনম বড় বোনকে জানান, অফিসের কাজে তিনি ঢাকার বাইরে আছেন। ফিরতে বেশ কয়েক দিন দেরি হবে। পরে ২৩ ডিসেম্বর রাতে শবনমের মোবাইল ফোনে কলা করা হলে রিং বাজতে থাকে। কেউ রিসিভ করেনি। বোনের স্বামী সাইদুলের কাছে কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে তারা অনেক চেষ্টার পর বাসার ঠিকানা পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে সেখানে গিয়ে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখতে পান। তবে ঐ সময় রুম থেকে পচা গন্ধ বের হলে বাড়ির মালিক ও পুলিশকে খবর দেন তারা। পরে পুলিশ এসে শবনমকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখে। চার-পাঁচ দিন আগে ঐ নারীর মৃত্যু হতে পারে বলে পুলিশের ধারণা।

ঐ পুলিশ কর্মকর্তা আরো বলেন, বুধবার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পলাতক স্বামীর অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, শবনম ‘দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সংবাদকর্মী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলায়। বাবার নাম হারুন অর রশিদ। গত মার্চ মাসে স্বামী সাইদুল ইসলামের সঙ্গে ঐ বাসা ভাড়া নেন তারা। সাইদুলের বাড়ি চাঁদপুরে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া