জাতিসংঘে মানবাধিকার পরিস্থিতির জবাব দেবে বাংলাদেশ

আইএনবি ডেস্ক: চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) বা সর্বজনীন পুনর্বীক্ষণ পদ্ধতির আওতায় বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচিত হতে যাচ্ছে।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ধারাবাহিকভাবে চতুর্থবার ইউপিআর প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে যাচ্ছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল ইউপিআর সভায় অংশ নিতে জেনেভায় রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নেতৃত্বে তারা বিগত চার বছরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরাসহ এ সম্পর্কে উত্থাপিতব্য বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন। পাশাপাশি প্রতিনিধিদল এই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবে।

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে প্রতি চার বছর পরপর ইউনিভার্সাল পিরিউডিক রিভিউ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর বিগত চার বছরের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। পর্যালোচনায় বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র পর্যালোচনাধীন রাষ্ট্রকে মানবাধিকার সংক্রান্ত নানা বিষয়ে প্রশ্ন ও সুপারিশ করে।

এর আগে বাংলাদেশ ২০০৯ সালে প্রথমবার, ২০১৩ সালে দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালে তৃতীয়বার ইউপিআর-এ অংশ নিয়েছিল। মূলত তিনটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে এই পর্যালোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

এগুলো হলো: (ক) সরকার দেওয়া জাতীয় প্রতিবেদন। (খ) জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন বা সংগঠনের জোটগুলোর দেওয়া প্রতিবেদন এবং (গ) জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনের কার্যালয়ের প্রতিবেদন।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া