ছুরিকাঘাতে নারী গার্মেন্টস কর্মী নিহত, আটক ১

গাজীপুর প্রতিনিধি: গাজীপুরে রবিবার রাতে সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার টায়ারের গলিতে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে এক নারী গার্মেন্টস কর্মী নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা ছুরিকাঘাতকারী যুবককে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

স্থানীয়দের দাবি, ছিনতাইকালে বাধা দেওয়ায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হয় ওই গার্মেন্টস কর্মী।

নিহত তাসলিমা আক্তার তমা (১৭) নীলফামারীর সৈয়দপুর থানাধীন দক্ষিণ নিয়ামতপুর আধানীর মোড় এলাকার মোঃ তাজুল ইসলামের মেয়ে। আটক যুবক ফয়সাল (২৬) বাগেরহাট জেলা সদর থানার পাতিলাখালী এলাকার শহিদুলের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার প্রফেসর আব্দুল বারীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় টিএম ফ্যাশন পোশাক কারখানার কাটিং সেকশনের সহকারী কাটার পদে চাকুরি করতেন। রবিবার রাতে কারখানা ছুটি শেষে বাসায় ফিরছিলেন তাসলিমা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে টায়ারের গলিতে পৌঁছলে তার পথরোধ করে ফয়সাল। এসময় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাসলিমার পেটের ডান পাশে ছুরিকাঘাত করে ওই যুবক। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তাসলিমা। এসময় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ফয়সালকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। গুরুতর আহত তাসলিমাকে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গণপিটুনিতে আহত ফয়সালকে আটক করে ওই হাসপাতালে ভর্তি করে।

স্থানীয়দের দাবি, ছিনতাইকালে বাধা দেওয়ায় ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে তাসলিমাকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারী ফয়সাল।

তবে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ওসি সানোয়ার জাহান নিহতের কয়েক সহকর্মীর বরাত দিয়ে এ ব্যাপারে জানান, একই কারখানায় চাকুরি করতেন তাসলিমা ও ফয়সাল। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় তাসলিমাকে উত্যক্ত করতো ফয়সাল। এ ব্যাপারে কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করা হলে প্রায় মাস খানেক আগে চাকরিচ্যুত হয় ফয়সাল। এর জের ধরে রবিবার রাতে কারখানা থেকে বাসায় ফেরার পথে তাসলিমাকে ছুরিকাঘাত করে সে। এতে নিহত হয় তাসলিমা। এঘটনায় ফয়সালকে আটক করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আইএনবি/বিভূঁইয়া