গাইবান্ধা-৫ আসনের পুনঃভোট গ্রহণ চলছে

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের উপ-নির্বাচনের পুনঃভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় দুইটি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের ১৪৫টি কেন্দ্রের ৯৫২টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সবগুলো কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। কিন্তু তীব্র শীতের এই সকালে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম।

এ উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হচ্ছেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন (নৌকা), জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত প্রার্থী এএইচএম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙ্গল) বিকল্পধারা বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহবুবুর রহমান ( ট্রাক)।

অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) গত ২৫ ডিসেম্বর বগুড়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে ভোট কারচুপির আশঙ্কায় এই নির্বাচন থেকে তিনি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা ও গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব জানান, গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ও সাঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮জন। এরমধ্যে ফুলছড়িতে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭৩ জন ও সাঘাটায় ২ লাখ ২৫ হাজার ৭০ জন। মোট ভোট কেন্দ্র ১৪৫টি ও বুথ ৯৫২টি। এসব কেন্দ্রে ইভিএম-এ ভোটগ্রহন করার জন্য ১৪৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, ৯৫২ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও এক হাজার ৯০৪ জন পোলিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি আরও জানান, ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় ৯টি কেন্দ্রে জেনারেটরের মাধ্যমে ইভিএম মেশিন চালানো হচ্ছে।

গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান বলেন, প্রতি ইউনিয়নে একজন করে মোট ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দুইজন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রসঙ্গত. গাইবান্ধা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী গত ২৩ জুলাই মারা যান। নির্বাচন কমিশন আসনটি শূন্য ঘোষণার পর গত ১২ অক্টোবর উপ-নির্বাচনের দিন ধার্য হয়। কিন্তু ভোট গ্রহণের দিন অনিয়ম করায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়। এই অনিয়ম তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কাজ শেষে গত পুনরায় ৪ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে তারিখ নির্ধারণ করেন নির্বাচন কমিশন।

আইএনবি/বিভূঁইয়া