করোনা সুযোগে পাহাড় কেটে সাবাড়!

বান্দরবন প্রতিনিধি: বর্তমানে সাধারণ মানুষ ক‌রোনা পরিস্থিতিতে আত‌ঙ্কে রয়েছে । আর সরকার ও প্রশাসন করোনার ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ সুযোগকেই কাজে লা‌গি‌য়ে বান্দরবান বালাঘাটা এলাকার লেমু‌ঝি‌ড়ি নামার পাড়ার পা‌শে খামার বা‌ড়ি‌তে পাঁচ এক‌রের বিশাল পাহাড় কে‌টে সাবাড় করার অভিযোগ উঠেছে সা‌বেক উপ‌জেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সা‌বেক যুবলীগ নেতা মো. জামাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে। বাংলা ট্রিবিউন

স‌রেজ‌মি‌নে গিয়ে দেখা গে‌ছে, কালাঘাটা লেমুঝি‌ড়ির নামার পাড়ার পা‌শে জামাল চৌধুরীর নিজস্ব খামার বা‌ড়ির ভেত‌রে প্রায় পাঁচ এক‌রের বেশি বিশাল পাহাড় ১০ থে‌কে ১৫দিনে কেটে প্রায় সমান করে ফেলা হয়েছে। এর ফ‌লে ঝুঁ‌কি‌তে প‌ড়ে‌ছে পাহাড়ের আশপা‌শে বসবাস করা ঘরবা‌ড়ির লোকজন।

স্থানীয়রা জানান, সরকারি ছু‌টির ঘোষণার প‌রের দিনই স্কে‌ভেটর এ‌নে পাহাড় কাট‌তে শুরু ক‌রেন সদর উপ‌জেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলী‌গের সাবেক নেতা মো. জামাল চৌধুরী। দিন রাত সমা‌নে কে‌টে পাঁচ এক‌রের বেশি বিশাল এক পাহাড় ই‌তোম‌ধ্যে সমতল ভূ‌মি‌তে প‌রিণত ক‌রো হয়েছে। এর ফ‌লে বর্ষায় ঝুঁ‌কিতে পড়েছে পাহাড়ের আশপাশে থাকা বসতবাড়ি।

পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করা এক বা‌ড়ির মা‌লিক ব‌লেন, সাম‌নেই বর্ষা। আর এ সময় ঝু‌ঁকিপূর্ণভা‌বে পাহাড় কে‌টে‌ছেন উপ‌জেলার সা‌বেক ভাইস চেয়ারম্যান। এ‌তে আমার বা‌ড়ি‌টি ঝুঁ‌কি‌তে প‌ড়ে‌ছে। এছাড়া ধুলোবা‌লি‌র মাধ্য‌মে ক‌রোনার জীবাণু ছড়া‌নোর আত‌ঙ্কে রয়েছেন তারা। তার প্রশ্ন, তারমতো (সাবেক যুবলীগ নেতা) এত বিচক্ষণ ব্যক্তি এতবড় পাহাড় কীভা‌বে কাট‌লো?

স্কে‌ভেটর চালক মো. মামুন ব‌লেন, উপ‌জেলার সা‌বেক ভাইস চেয়ারম্যান ক‌রোনার কার‌ণে সরকারি ছু‌টি ঘোষণার পর‌দিনই আমা‌কে পাহাড় কাট‌তে নি‌য়ে এসেছেন। আমার এ‌তে কিছুই করার নাই।

স্কেভেটরের মাধ্যমে পাহাড় কেটে সমান করা হচ্ছেতবে পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি নিয়েই পাহাড় কেটেছেন বলে দাবি করেছেন জামাল চৌধুরী। তিনি ব‌লেন, ‘আ‌মি প‌রি‌বেশ অ‌ধিদফতর ও জেলা প্রশাস‌কের নিকট থে‌কে পোল্ট্রি খামার করার অনুম‌তি নি‌য়ে‌ছি। তাই পাহাড় কে‌টে সমান কর‌া হ‌চ্ছে।’

এ বিষয়ে জানালে বান্দরবান সদর উপ‌জেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হা‌বিবুল হাসান ব‌লেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া প‌রি‌বেশ অ‌ধিদফতরের কাজ। তবু আ‌মি খোঁজ নি‌য়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

বান্দরবানের অ‌তি‌রিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হো‌সেন ব‌লেন, ‘আ‌মি পাহাড় কাটার বিষ‌য়ে জা‌নি না। এখন জানলাম, ব্যবস্থা নি‌চ্ছি।’

তবে এ বিষয়ে জানতে বান্দরবান প‌রি‌বেশ অ‌ধিদফতরের সহকারী প‌রিচালক‌ সামিউল আলম কুরসির ফোনে একাধিকবার কল করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আইএনবি/বিভূঁইয়া