কত মুক্তিপণে ছাড়া পেলো জাহাজ-নাবিক, জানাতে চায় না কেএসআরএম

আইএনবি ডেস্ক: সোমালিয়ান জলদস্যুদের কাছে জিম্মি থাকা জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও নাবিকদের উদ্ধার করতে কত টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেছে জাহাজের মালিক পক্ষ। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করীম।

রোববার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলনে মেহেরুল করীম বলেছেন, আগের অভিজ্ঞতা থাকায় সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে আমাদের নাবিক ও জাহাজ দ্রুত মুক্তি পেয়েছে। জাহাজের সকল নাবিক-ক্রু সুস্থ আছেন। কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।

কত টাকা মুক্তিপণ দিয়ে জাহাজ মুক্ত করা হয়েছে, জানতে চাইলে মেহেরুল করীম তা জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের এগ্রিমেন্ট হয়েছে। এগ্রিমেন্টের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। কিছু জিনিস আমাদের গোপন রাখতে হয়। আমরা জলদস্যুদের প্রমোট করতে পারি না।

সংবাদ সম্মেলনে মেহেরুল করীম আরও বলেন, ‘১৩ বছর আগে আমাদের আরেকটি জাহাজ জাহান মনি জিম্মি হয়। তখন আমাদের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে জাহাজটি মুক্ত করতে সময় লেগেছিল। তবে, তখনকার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমরা এবার দ্রুত সময়ে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে মুক্ত করতে পেরেছি।’

জাহাজ মুক্ত করার প্রক্রিয়া উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জাহাজটি জিম্মি হওয়ার পর থেকে আমরা প্রতিনিয়ত সেটির পজিশন ট্র্যাক করতাম। কোথা থেকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে, তা সার্বক্ষণিক নজরদারি করতাম।

জাহাজ জিম্মি করার কয়েকদিন পর জলদস্যুদের একজন, যিনি ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন, তিনি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। এর পর সকল আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে আমরাও আমাদের দিক থেকে যোগাযোগ শুরু করি। এভাবে টানা মাসখানেকের যোগাযোগের সফলতাতেই মুক্ত হয় এমভি আবদুল্লাহ।’

মেহেরুল করীম বলেন, ‘দুই দিন আগে আমরা আমাদের জাহাজের প্রতিটি ক্রু-নাবিকের ভিডিও নিয়ে তাদের সুস্থতা নিশ্চিত করি। প্রতিটি নিয়ম মেনে কাজ করা হয়েছে। জাহাজে ৬৫ জন জলদস্যু ছিল। শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জাহাজের ক্যাপ্টেন আমাকে জানান, জলদস্যুরা জাহাজ থেকে স্পিডবোটে করে চলে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মেহেরুল করীম ছাড়াও কেএসআর গ্রুপের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

আইএনবি/বিভূঁইয়া