এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী

মো: শাহজালাল :

আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় এসডিজি সামিটে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে এসডিজি বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে সরকারের নেওয়া উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম আলোকপাতের পাশাপাশি ২০৩০ এর মধ্যে বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করতে কিছু সুস্পষ্ট অঙ্গীকারও করবেন প্রধানমন্ত্রী।

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় এসডিজি সামিটে সদস্য দেশের সরকার ও রাষ্ট্র প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন।

আগামী ১৮-১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ওই সম্মেলনে অংশ নিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে জাতিসংঘ। চিঠিতে ন্যাশনাল পাথওয়েজ টু এসডিজি ট্রান্সফরমেশন প্রস্তুতির সুপারিশ করা হয়েছে।

ওই সুপারিশে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত জলবায়ু অবদানের (এনডিসি) সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২০২৭ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দারিদ্র এবং বৈষম্যের মাত্রা কমানোর জন্য পরিস্কার মানদণ্ড ঠিক করার কথা বলেছে জাতিসংঘ।

এছাড়া, সেসব মানদণ্ড বাস্তবায়নযোগ্য করে তোলার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা জোরদার করার পদক্ষেপ হিসেবে জ্বালানি, খাদ্য, ডিজিটাল এবং সামাজিক রূপান্তরকে সক্রিয় করতে প্রয়োজনীয় নীতি-প্রতিশ্রুতির রূপরেখা দেওয়ার কথা বলেছে জাতিসংঘ।

এসডিজির সঙ্গে জাতীয় বাজেটকে সমন্বিত করা, জেন্ডার সমতাকে মূলধারায় নিয়ে আসা ও জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় নারী ও মেয়েদের সম্পৃক্ত করা, পাবলিক সেক্টরের সক্ষমতা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে এবং জাতীয় ডেটা এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে সরকার। এসডিজির প্রধান ছয়টি ট্রানজিশন- সোশ্যাল প্রোটেকশন এন্ড জবস, এনার্জি কমপ্যাক্টস, ট্রান্সফরর্মিং এডুকেশন, ফুড সিস্টেমস, ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন এবং বায়োডাইভার্সিটি এন্ড ন্যাচার এবং একটি ক্রস কাটিং অগ্রাধিকার – জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অর্জনে ইতোমধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার তথ্য চেয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এসডিজি) মো. মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে প্রধান এই ছয়টি উত্তরণসহ জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি বিষয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ যেসব লক্ষ্য অর্জনের টার্গেট করেছে, তার তথ্যসহ টার্গেট অর্জনে ২০৩০ সালের মধ্যে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার তথ্যও চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া, এসডিজি বাস্তবায়নের মূল উপায়- ফাইন্যান্স, ডাটা, লোকালাইজেশন, ট্রেড এবং পাবলিক সেক্টর ক্যাপাবিলিটিস বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো ইতোমধ্যে কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে এবং আগামী সাত বছরে কী কী পদক্ষেপ নেবে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট মাইলস্টোন টার্গেট সম্পর্কে মন্ত্রণালয়গুলোর কাছে তথ্য চেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।